ভোটে জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি! উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
ধামীর দাবি, প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে, লিঙ্গবৈষম্যের অবসান ঘটে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে এবং হিমালয়ে ঘেরা ওই রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিচয় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।

উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে দাবি করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিংহ ধামী। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর ওই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, ভোট পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই প্রচারের শেষ প্রহরে বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরে মেরুকরণের রাজনীতি করতে চাইছেন বিরোধী নেতা ধামী।
ওই সাক্ষাৎকারে ধামী বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে জিতে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেই উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করবে। সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইনের ব্যবস্থা করা হবে আমাদের রাজ্যে।’’
ধামীর দাবি, প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে, লিঙ্গবৈষম্যের অবসান ঘটে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে এবং হিমালয়ে ঘেরা ওই রাজ্যের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিচয় এবং পরিবেশ সুরক্ষিত হবে।
প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মাধ্যমে সব ধর্মের মানুষের জন্য একই রকম পারিবারিক, বিবাহ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের কথা কয়েক দশক ধরেই বলে আসছে বিজেপি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি-র ইস্তাহারেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রতিশ্রুতি ছিল। ওই বিধি কার্যকর হলে মুসলিমদের শরিয়ত অনুযায়ী ব্যক্তি আইনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে।
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকার তিন তালাক নিষিদ্ধ করা, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ রদ করা, রামমন্দির নির্মাণ, নতুন শিক্ষানীতির মতো সঙ্ঘ পরিবারের কর্মসূচি একের পর এক রূপায়ণ করছে বলে অভিযোগ। এ বার দেশের এক অঙ্গরাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে উসকে দিলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিতর্ক।