বাংলার মা ক্যান্টিনের ধাঁচে BJP শাসিত দিল্লিতে চালু ‘অটল ক্যান্টিন’
Authored By:
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩৪: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় প্রকল্প ‘মা ক্যান্টিন’-র হুবহু অনুকরণ করল বিজেপি শাসিত দিল্লি সরকার। বাংলার মতোই দিল্লিতে রেখা গুপ্তার সরকার শুরু করছে ‘পাঁচ টাকায় পুরো থালি’র প্রকল্প। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মদিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ‘দি অটল ক্যান্টিন’-র উদ্বোধন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। এবার থেকে বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে মাত্র পাঁচ টাকায় খাবার সরবরাহ করা হবে।
জানা যাচ্ছে, দিল্লি সরকার ইতিমধ্যে এই খাতে বরাদ্দ করেছে ১০৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি অটল ক্যান্টিন থেকে প্রায় হাজার জনকে খাবার পরিবেশন করা হবে। বৃহস্পতিবার লাজপাত নগরের নেহরু নগরে ‘আপনা বাজার’-র কাছে মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর একটি অটল ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর তিনি জানান, ১০০টি ক্যান্টিন চালু করা হবে। জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দু’টো ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত দিনে দু’বার করে ক্যান্টিন থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে। প্রতি থালায় থাকবে ভাত, ডাল, রুটি ও সব্জি।
উল্লেখ্য, দিল্লি, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য মমতা মডেলকে অনুসরণ করছে।
বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের জন্য ‘লাডলি বহেন যোজনা’ চালু হয়েছে, ডবল ইঞ্জিন মহারাষ্ট্রে রয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লড়কি বহিন যোজনা’, ওড়িশায় আছে ‘সুভদ্রা যোজনা’, দিল্লিতে প্রাক্তন আপ সরকার চালু করেছিল ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা’, কর্নাটকে ‘গৃহলক্ষ্মী’, তেলঙ্গানাতে একদা কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ‘মহালক্ষ্মী’ প্রকল্পের, ঝাড়খণ্ডে ‘মুখ্যমন্ত্রী মাইয়া সম্মান যোজনা’। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার নকল করেছে মমতার প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’-এর। দক্ষিণের রাজ্যটিতে এই প্রকল্পের নাম ‘নাম্মা উরু, নাম্মা আরাসু’।
কন্যাশ্রীর ছায়া দেখা যায় ভারত সরকারের বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারতে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর প্রভাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগোচ্ছে দেশের একের পর এক রাজ্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রায় সব প্রকল্পই অনুকরণ করেছে দেশের একাধিক রাজ্য সরকার এমনকি খোদ কেন্দ্র পর্যন্ত।