সচেতনতাই সংক্রমণ কমানোর উপায়,বলছেন ডাক্তাররা

মানুষের অসচেতনতার জন্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

July 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সন্দীপ রায়ের মৃত্যু হল। তাঁর করোনা পজিটিভ ছিল। তিনি গত তিন–চার দিন ধরে ভর্তি ছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। করোনার পাশাপাশি তাঁর বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছিল। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উৎপল ভৌমিকের মৃত্যু হয়। মানুষের অসচেতনতার জন্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এদিনও একাধিক জায়গা থেকে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। কলকাতায় ডোভার লেনে একটি বহুতলে একই পরিবারের আটজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জাস্টিস চন্দ্রমাধব রোডেও বহুতলের একটি বাড়িতে চার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বালিগঞ্জের গড়চা লেন, পাশাপাশি একাধিক আবাসনে করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ানো হয়েছে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ২৪টি কন্টেনমেন্ট জোনের সঙ্গে আরও ৭টি এলাকা যোগ করা হয়েছে। 

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশ্যালিস্ট ডাঃ সৌরভ কোলে। তিনি বেলভিউ ক্লিনিকে আইসিইউ–তে। আপাতত ভাল আছেন। করোনা সংক্রমণের জেরে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এসবিআই বারোদুয়ারি শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল। ব্যাঙ্কের আধিকারিক–‌সহ দুই কর্মী আক্রান্ত। একাধিক ব্যাঙ্কের শাখায় কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার ব্যাহত হচ্ছে কাজ। সমস্যায় গ্রাহকরা। সংক্রমণের আশঙ্কায় বহরমপুর আদালত ১০ দিনের জন্য বন্ধ।  

রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১,৮৯৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩৮ হাজার ১১ জন। বর্তমানে সক্রিয় ১৪ হাজার ৭০৯ জন। আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,০৪৯।

এদিকে একদিনেই আরও ৮৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ২২ হাজার ২৫৩ জন। সুস্থতার হার ৫৮.‌৫৪ শতাংশ।

করোনা চিকিৎসায় শয্যা বাড়ছে, পরীক্ষাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২৪০টি। 

কলকাতায় ৫৬৩ জন নতুন আক্রান্ত। উত্তর ২৪ পরগনা ৪৪৩, হাওড়া ১৮২, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৬০, হুগলি ৮৩, মালদা ৮৮ জন–‌সহ সব জেলায় আক্রান্ত বেড়েছে। এদিন শুধু কলকাতায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

এক্সপার্ট টিমের সদস্য ও এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘কোথাও কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তা ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যু হার অনেকটাই কমিয়ে আনা গেছে। জনঘনত্ব অনেক বেশি বলেই কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনায় আক্রান্ত বেশি। মানুষ একটু সচেতন হলেই সংক্রমণ অনেকটাই কমবে। মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায়, কোনওরকম উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসককে দেখানো— এই তিনটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলা জরুরি।’

এদিন বেলেঘাটার এসবিআই শাখার তরফে আইডি হাসপাতালে ৫টি ভেন্টিলেটর, ৩০০টি পিপিই কিট দেওয়া হয়। সল্টলেকে ফোর স্টার হোটেলে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার করেছে আইএলএস হাসপাতাল। অর্থের বিনিময়ে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen