রাকেশ শর্মা বলে ছিলেন ‘সারে জহাঁ সে আচ্ছা’, ৪১ বছর পর শুভাংশু শুক্লা মহাকাশ থেকে কী জানালেন?
Axiom-4 mission-এর সফল উৎক্ষেপণের পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা পৃথিবীতে পাঠানো প্রথম বার্তায় জানালেন, কাঁধে করে তেরঙা নিয়ে যাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: মহাকাশে পাড়ি দিলেন ভারতীয় নভোচর শুভাংশু শুক্লা। ভারতীয় সময় ঠিক বারোটা বেজে এক মিনিটে অন্তরীক্ষে পাড়ি দিল অ্যাক্সিয়ম-৪। তাঁদের গন্তব্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেখানেই আপাতত তাঁরা থাকবেন। বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে। শুভাংশু ভারতের নিজস্ব স্পেস মিশন ‘গগনযান’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এই অভিযানের মাধ্যমে।
Axiom-4 mission-এর সফল উৎক্ষেপণের পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা পৃথিবীতে পাঠানো প্রথম বার্তায় জানালেন, কাঁধে করে তেরঙা নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ চার দশক পর এক অনন্য ইতিহাসের পাতায় লিখতে চলেছেন তাঁর দেশ ভারতের নাম। এদিন মিশনের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো প্রথম বার্তায় শুক্লা বলেন, এই অভিযান শুধু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা নয়, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা।
নমস্কার, আমার প্রিয় দেশের মানুষ। কী মজার যাত্রা! ৪১ বছর পর আমরা আবার মহাকাশে পাড়ি দিলাম। দারুণ লাগছে! এখন আমরা পৃথিবীকে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ৭ কিমি গতিতে প্রদক্ষিণ করছি। তেরঙা আমার কাঁধে রয়েছে। যা আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি। আমি চাই আপনারাও সকলে আমার এই যাত্রার সঙ্গী হন। আপনাদের বুক নিশ্চই গর্বে ফুলে উঠবে। মহাকাশে ভারতের মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। জয় হিন্দ! জয় ভারত!
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল মহাকাশে পৌঁছন প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা। সেবার তিনিও মহাকাশে নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু সব ছাপিয়ে দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। হাকাশ থেকে বেতার সংযোগের মাধ্যমে ইন্দিরার সঙ্গে কথা বলেন রাকেশ। মহাকাশ থেকে ভারতকে কেমন দেখাচ্ছে, রাকেশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ইন্দিরা। প্রশ্ন করেন, ‘উপর সে ভারত ক্য়ায়সা দিখতা হ্যায়’? একবাক্যে রাকেশের জবাব ছিল, “কোনও দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি, সারে জহাঁ সে আচ্ছা’।