বাগনানে ৪০০ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন বাঘেশ্বরী, কীভাবে শুরু হয়েছিল দেবীর পুজো?

বাঘের হাত থেকে বাঁচতে নদীর চরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘেশ্বরী দেবীর আরাধনা আরম্ভ করেছিলেন।

December 2, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাগনানের কাছাড়িপাড়ায় হয়েছে দেবী বাঘেশ্বরীর মন্দির। বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতেই শুরু হয়েছিল দেবীর পুজো। ৪০০ বছর আগে বাগনান কাছারিপাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিয়ে বয়ে যেত দামোদর ও রূপনারায়ণ। ছিল ঘন জঙ্গল। জঙ্গলে থাকত বাঘ। বাঘের আক্রমণে প্রায়ই প্রাণ যেত মানুষের।

বাঘের হাত থেকে বাঁচতে নদীর চরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঘেশ্বরী দেবীর আরাধনা আরম্ভ করেছিলেন। পরবর্তীতে কাছাড়িপাড়ায় তৈরি হয় বাঘেশ্বরীর মন্দির। মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় পুজো।

গবেষকদের মতে, বাগনানের পূর্বের নাম ছিল বাঘনান। নান শব্দটির অর্থ চরভূমি। নদীর চরে বাঘেশ্বরী দেবীর পুজো হওয়ায় এই এলাকার নাম হয়েছিল বাঘনান। তা লোকমুখে বাগনান হয়ে গিয়েছে। এখন আর বাঘ নেই। তবে প্রতিষ্ঠিত দেবী বাঘেশ্বরী পূজিতা হচ্ছেন। দেবী বাঘেশ্বরী অষ্টভুজা, তাঁর আট হাতে আট অস্ত্র থাকে।

পুজোর দিন সোনার অলংকারে সাজানো হয় তাঁকে। দেবীর মূর্তি পাথরের। পুজোর দিন খিচুড়ি, ভাজা, তরকারি, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। বাঘেশ্বরী ঠাকুরের বাৎসরিক পুজো ও উৎসব শুরু হয়েছে সোমবার, বাগনানে এখন উৎসবের আমেজ। সকালে দামোদর নদী থেকে জল নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দিরে এসে, পুজো দেওয়ার রীতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। ওপার বাংলা থেকেও ভক্তরা আসেন। পুজো উপলক্ষ্যে তিনদিন ধরে পরিবেশবান্ধব আতস বাজি প্রদর্শন হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। শীতবস্ত্র ও চারা গাছ বিতরণ করা হয় পুজো কমিটির তরফে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen