চারা গাছের ‘কারখানা’য় পরিনত হয়েছে বলাগড়, ১০ হাজার পরিবার নির্ভরশীল

কাটোয়াগামী ট্রেনে কিংবা অসম রোড বরাবর এগলে মগরা থানা পার হওয়ার পর চোখে পড়বে বিঘের পর বিঘের বাগান

August 29, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: YouTube

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাজারে এখন প্রায় সারা বছর পেয়ারা, আম, কাঠাল পাওয়া যাচ্ছে, যা এক দশক আগেও ছিল কল্পনার বাইরে। শুধু তাই, জাপানের মিয়াজাকি, আমেরিকার রেড পালমার, থাইল্যান্ডের ব্ল্যাকস্টোন বা ব্যানানা ম্যাঙ্গোর গাছও এখন মিলছে এই বাংলায়। পাকলে এসব বিদেশি আমের কোনওটার দাম নাকি আড়াই লক্ষ টাকা কেজি! আবার কোনওটার দাম কেজি প্রতি পাঁচশো থেকে সাতশো টাকা।

কাটোয়াগামী ট্রেনে কিংবা অসম রোড বরাবর এগলে মগরা থানা পার হওয়ার পর চোখে পড়বে বিঘের পর বিঘের বাগান। ছোট ছোট জায়গা প্লাস্টিকের শেড দিয়ে ঢাকা। রাত হলেই দিনের মতো আলো করে জ্বলে সিএফএল বাল্ব। কারন, কারখানায় সামগ্রীর মতো এখানেও তৈরি হয় চারা। এদেশীয় বীজ থেকে চারা তৈরির পাশাপাশি আমেরিকা, জার্মানি, হল্যান্ড থেকে প্রত্যেক বছর কয়েক লক্ষ টাকার ফল ও ফুলের বীজ আসে। যেখান থেকে শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জাপান এবং আরবেরও বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে রকমারি চারাগাছ।

বলাগড় ব্লকের গঙ্গা লাগোয়া ট্রেন ও অসম রোডের দু’দিকে হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারের বেশি পরিবার এর উপর নির্ভরশীল। বলাগড়ের বগা মোড় থেকে সামান্য এগলেই বিশাল এলাকা জুড়ে নার্সারি।

নার্সারিগুলিতে কী গাছ নেই! মিয়াজাকি, আমেরিকান পালমার, হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়াসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক জাতের আমচারা। এছাড়া তৈরি হয় বীজের ও কলমের অ্যাভোগাডো চারা, থাইল্যান্ডের রামবুটান, ইন্দোনেশিয়ার ম্যাঙ্গোস্টিন, ব্রাজিলের জাবুটিকাবার মতো বিদেশি ফল এবং পেয়ারা, নারকেল, সবেদা, লিচু, জামরুল, আতার মতো কয়েকশো ফলের চারা। এছাড়া দেশি-বিদেশি ফুল ও বাহারি গাছও রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen