মানুষের পাশে দাঁড়াতে টোটো কিনলেন ‘‌রিকশাচালক’‌ বিধায়ক

তিনি জানিয়েছেন, নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে সর্বদাই থাকবেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মনোরঞ্জনবাবু একটি পোস্ট করেন।

June 16, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভোটের ‌আগে গলায় গামছা জড়িয়ে নিজে রিকশা চালিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী তথা সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Manoranjan bapari)। ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তবুও তার সাধারণ জীবনযাপনে থেকে একচুলও নড়েননি। এবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে টোটো কিনে তাক লাগিয়ে দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

তিনি জানিয়েছেন, নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে সর্বদাই থাকবেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মনোরঞ্জনবাবু একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘‌আপনাদের বিধায়ক, আপনাদের সেবক। এতদিনে আপনাদের আশীর্বাদে, দয়া আর দানে নিজের একটা বাহন হল। যে কোনও দিন, যে কোনও সময় এই বাহন, বিধায়ককে নিয়ে পৌঁছে যাবে আপনার দরজায়।’‌

ভোটের ‌আগে গলায় গামছা জড়িয়ে নিজে রিকশা চালিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন বলাগডের তৃণমূল প্রার্থী তথা সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তবুও তার সাধারণ জীবনযাপনে থেকে একচুলও নড়েননি। এবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে টোটো কিনে তাক লাগিয়ে দিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

তিনি জানিয়েছেন, নিজের কেন্দ্রের মানুষের পাশে সর্বদাই থাকবেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে মনোরঞ্জনবাবু একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘‌আপনাদের বিধায়ক, আপনাদের সেবক। এতদিনে আপনাদের আশীর্বাদে, দয়া আর দানে নিজের একটা বাহন হল। যে কোনও দিন, যে কোনও সময় এই বাহন, বিধায়ককে নিয়ে পৌঁছে যাবে আপনার দরজায়।’‌

জীবনের শুরুতে কি করেননি তিনি। একটা সময় এমনও গিয়েছে যখন নকশাল আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেলও খেটেছেন তিনি। পরে তিনিই হয়ে উঠেছেন একজন স্বনামধন্য সাহিত্যিক। বেঁচে থাকার লড়াইয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন মুটে-‌মজুরি থেকে শুরু করে রিকশা চালানোর পর্যন্ত পেশা। এমনকী, সংসারের ঘানি টানতে চায়ের দোকানেও কাজ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একসময় ছত্রিশগড়ের জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে এনে তা সাইকেলে চাপিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে সংসারও চালিয়েছেন। এছাড়াও বয়সকালে স্কুলের রাঁধুনির কাজও করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই হতদরিদ্র মনোরঞ্জনবাবুর পড়াশোনার সুযোগ কোনদিনও হয়ে ওঠেনি। কিন্তু দেশে এমন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, যেখানে তিনি তাঁর বক্তৃতা দিয়ে সমৃদ্ধ করে তোলেননি।

তার হাত দিয়েই বেরিয়ে এসেছে একের পর এক গ্রন্থ। সম্মানিত হয়েছেন একাধিক পুরস্কারেও। ‘‌ইতিবৃত্তে চণ্ডাল জীবন’‌, ‘‌অন্য ভুবন’‌, ‘‌জিজীবিষার গল্প’‌-‌সহ নানা গ্রন্থে তিনি তাঁর দারিদ্র জীবনের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। এমনকী, সাহিত্যিক মহাশ্বেতাদেবীরও সান্নিধ্যে এসেছেন তিনি। একসময় মনোরঞ্জনবাবুর রিকশায় চড়েছেন মহাশ্বেতাদেবী।

তবে বছরখানেক আগেই মনোরঞ্জনবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁর অবস্থার কথা জানিয়ে একটা কাজের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে একটি স্কুলের লাইব্রেরিয়ানের কাজে নিযুক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর দলিত একাডেমিতে জায়গা পান মনোরঞ্জনবাবু। তার পরে ভোট লড়ে বিধায়ক হয়েও শিকড়ের টান ভুলে যাননি তিনি। তবে বছরখানেক আগেই মনোরঞ্জনবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁর অবস্থার কথা জানিয়ে একটা কাজের আবেদন করেছিলেন। তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে একটি স্কুলের লাইব্রেরিয়ানের কাজে নিযুক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর দলিত একাডেমিতে জায়গা পান মনোরঞ্জনবাবু। তার পরে ভোট লড়ে বিধায়ক হয়েও শিকড়ের টান ভুলে যাননি তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen