অবশেষে বিমান উড়ানের ছাড়পত্র পেল বালুরঘাট বিমানবন্দর, খুশি এলাকাবাসী

২০১৭ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার ওরিজিওনাল ডেপুটি কমিশনার (নিরাপত্তা) বালুরঘাট বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন।

January 23, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে বিমান চলাচলের ছাড়পত্র পেল বালুরঘাট বিমান বন্দর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক বার এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শন হলেও এতদিন বিমান চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছিল না। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে মালদহ, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শন করা হয়। এরপর বালুরঘাট বিমান বন্দরের বিমান চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলার এক শীর্ষ কর্তার দাবি, তিনি এই বিষয়টি শুনেছেন। এখনও লিখিত কোনও চিঠি আসেনি। 

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক বিবেক কুমার বলেন, ডিসেম্বর মাসে বালুরঘাট বিমান বন্দর পরিদর্শন করে গিয়েছিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিক সহ রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। তাঁরা আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে। বিমান চলাচলের জন্য বালুরঘাট বিমান বন্দর পুরো তৈরি। কিছু কাজ করতে হবে এমনটা জানানো হয়েছিল। বিমান চলাচলের জন্য এখনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আমরা মৌখিকভাবে শুনেছি ছাত্রপত্র দেওয়া হয়েছে। যদি হয়ে থাকে তবে রাজ্যের তরফে অবশ্যই বিমান চলাচলের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লিখিত কোনও চিঠি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। 


হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, আমাদের মাঝেমধ্যে কলকাতা যেতে হয় ট্রেনে করে। বালুরঘাটে বিমান চালু হলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব দ্রুত বিমান চলাচলের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার। 

২০১৭ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার ওরিজিওনাল ডেপুটি কমিশনার (নিরাপত্তা) বালুরঘাট বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে শেষে তিনি জানান সেই বছরে দুর্গাপুজোর আগে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। সেই মতো কাজ শেষ হয়। ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ বিমান বন্দর পরিদর্শনে এসে পয়লা বৈশাখে বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়ে আধিকারিকরা জানিয়ে যান। সেই বছরেও বালুরঘাট বিমান বন্দর চালু হওয়া নিয়ে টানাপোড়েন লেগেই থাকে। একাধিক বার এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া ও রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা পরিদর্শনে করে বিমান বন্দর চালু করার জন্য যেই সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে তা শেষ করবার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।

সেই মতো জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বিমান বন্দর চালু করতে বাকি থাকা সমস্ত কাজ শেষ করে। কাজ শেষ হওয়ার পরে রাজ্য স্তরের তরফে লাইন্সেস দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। তারপরেও বেশ কয়েকবার এয়ারপোর্ট অথরিটির আধিকারিকরা এসে বিমান বন্দর পরিদর্শন করে। তবে বিমান বন্দর চালুর নিয়ে কোনও লাইন্সেস দেওয়া হয়নি। বহু বার চিঠি দেওয়ার পরেও কোনও উত্তর এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। বিমান পরিষেবা চালুর জন্য লাইন্সেস দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কবে বিমান পরিষেবা চালুর জন্য কবে লাইন্সেস দেওয়া হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই লাইসেন্স পাওয়ায় এবারে রাজ্যের তরফে বিমান চলাচলের পথ সুগম হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen