Bangladesh Election: জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের, একই দিনে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে গণভোটও

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৬: অবশেষে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটির জাতীয় সংসদ নির্বাচন (Bangladesh general election)। তবে এবারের নির্বাচনে যুক্ত হয়েছে এক নতুন মাত্রা। সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে গণভোট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নির্বাচনের এই নির্ঘণ্ট বা তফসিল ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) (Bangladesh Election Commission) এএমএম নাসিরউদ্দিন।
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদের গণভোট একই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলেও, ভোটদাতারা পৃথক ব্যালট পেপারে তাঁদের মতামত জানাবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ওই দিন রাত থেকেই গণনা শুরু হবে।
সিইসি নাসিরউদ্দিন তাঁর ভাষণে জানান, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। সিইসি বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষের বেশি প্রবাসী ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন।’’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূর্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের রমজানের আগেই তিনি নির্বাচন আয়োজন করতে চান। সেই লক্ষ্যেই গত আগস্টে নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন করে কমিশন। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসি দ্রুত তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
নির্বাচনের সঙ্গে ‘জুলাই সনদ’ (july sanad) নিয়ে গণভোটের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছিলেন। ২৮ দফার এই দলিলে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সনদে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলেরও সমালোচনা করা হয়েছে এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বিষয়গুলোতেই জনগণের রায় নিতে গণভোটের আয়োজন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত মোট ৫৬টি রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীকে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন স্থগিত থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ( Awami League)।