Bangladesh Unrest: দশদিনে দ্বিতীয়বার! ফের ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার
Authored By:
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৫০: ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওপার বাংলা জ্বলছে। আক্রমণের নিশানায় সংখ্যালঘুরা। পাশাপাশি বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফের ডেকে পাঠাল ইউনূসের বিদেশ মন্ত্রক। এই নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হল। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে চাপানউতর।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে ফের ডেকে পাঠাল। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকে। বিগত ১০ দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রণয়কে ডেকে পাঠাল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁকে। ফের মঙ্গলবার তাঁকে ডাকা হল।
ঠিক কী কারণে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে গত কয়েক দিনে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সে দেশে বেশ কিছু ভিসা-কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় ভারত। সোমবার রাতে ভারতে তিনটি ভিসা-কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশও। ঠিক তার পরদিন, আজও সকালেই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকে ডেকে পাঠানোয়, জল্পনা শুরু হয়ে।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহে দীপু হত্যা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন বাড়ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত দীপুচন্দ্র দাসের হত্যার বিচারের দাবি তুলেছে। বাংলাদেশও পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে। শেখ হাসিনাও ইউনূসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নয়া দিল্লি। তার পর রাজশাহী এবং খুলনাতে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা-কেন্দ্রও। ভারতীয় হাইকমিশন এবং উপহাইকমিশনগুলিতে হামলা নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণেই ভিসা-কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নয়া দিল্লি। এখন দেখার কোন দিকে এগোয় পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি।