চমকপ্রদ সাফল্য কলকাতা পুলিশের, চার ঘণ্টায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অপহরণ মামলার কিনারা

অপহৃত তিমিরকান্তির স্ত্রী তাপসী মজুমদার পুলিশকে না-জানিয়ে অপহরণকারীদের দেওয়া ইউপিআই আইডিতে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন।

June 1, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৯: ২৮ মে শহরের বুকে ঘটে যায় সিনেমার কায়দায় অপহরণ। যদুবাবু বাজারের কাছে অপহৃত হন কুলপির সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তিমিরকান্তি মজুমদার। নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে মুখে কালো কাপড় বাঁধা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। এরপরই অপহৃতের স্ত্রীর কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হয়। পরিবারকে হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার ৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপহরণ কাণ্ডের কিনারা করে কলকাতা পুলিশ ফের একবার সাফল্যের নজির গড়ল।

অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের গোপন আস্তানা খুঁজে বের করে পুলিশ। অপহৃত তিমিরকান্তির স্ত্রী তাপসী মজুমদার পুলিশকে না-জানিয়ে অপহরণকারীদের দেওয়া ইউপিআই আইডিতে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। তদন্ত শুরু করে ভবানীপুর থানা ও সাউথ ডিভিশনের সাইবার সেল। অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরে মূল অভিযুক্ত সজল বোসের যাদবপুরের ফ্ল্যাটের ঠিকানা খুঁজে পায় পুলিশ।

অন্যদিকে, বাকি ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য তাপসীকে সুকান্ত সেতুর কাছে ডেকে পাঠায় অপহরণকারীরা। সাদা পোশাকে থাকা এক মহিলা পুলিশ কর্মী তাঁর সঙ্গে যান। টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সজলকে। এরপর যাদবপুরের সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে তিমিরকান্তি মজুমদারকে উদ্ধার করা হয়। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন সুদীপ মজুমদার, সুমন বোস, সমীরকুমার দুবে এবং সন্দীপন ওরফে চিমা দাস। শনিবার আলিপুর আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছে পাঁচ অভিযুক্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen