ছাঁটাই জল্পনা উড়িয়ে গম্ভীরের উপর বোর্ডের পূর্ণ আস্থা ! BCCI বলল “সবই গুজব”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১.৪০: টিম ইন্ডিয়া ও কোচ গৌতম গম্ভীরের কাছে ২০২৫ সালটা যেন সাফল্য আর ব্যর্থতার মিশেল। একদিকে এশিয়া কাপ (টি-টোয়েন্টি) ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ওয়ানডে) জিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছে ভারত। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটে একের পর এক ধাক্কা গম্ভীরের লাল বলের কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজে হারের পর সমালোচনা আরও তীব্র হয়। ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া ভারতের জন্য বড় ধাক্কা। এর আগেই ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছিল, তখনও কোচ ছিলেন গম্ভীর।
এই প্রেক্ষাপটে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে ভরাডুবির পর বোর্ডের অন্দরে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি নাকি অনানুষ্ঠানিকভাবে ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তিনি লাল বলের দলের কোচ হতে আগ্রহী কি না জানতে। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ‘হেড অফ ক্রিকেট’ হিসেবে কাজ করতেই স্বচ্ছন্দ লক্ষ্মণ।
অন্যদিকে, এনডিটিভির সূত্র জানাচ্ছে, ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে গম্ভীরকে সরানোর কোনও ভাবনাই নেই বোর্ডের। এক শীর্ষস্থানীয় বিসিসিআই কর্তা স্পষ্ট করে বলেন, “ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে কোনও রকম কথা হয়নি। গৌতম গম্ভীরের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
তবুও ভারতীয় ক্রিকেটে সিদ্ধান্ত কখন বদলে যায়, তা বলা কঠিন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করেই গম্ভীরের ভবিষ্যৎ নতুন করে মূল্যায়িত হতে পারে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট মহলের একাংশ।