চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে ২৬১ পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন
উচ্চশিক্ষা, উদ্যানপালন ও অর্থ দপ্তর মিলিয়ে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২৬১। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই নিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।

করোনার মধ্যেও রাজ্য সরকারি দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) আগামী সপ্তাহে ফের একগুচ্ছ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে চলেছে। উচ্চশিক্ষা, উদ্যানপালন ও অর্থ দপ্তর মিলিয়ে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ২৬১। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই নিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের দাবি, উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন কলেজের জন্য ১৭১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ করবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আর্থিক বিষয় দেখভালের জন্য অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের আওতায় অফিসার নিয়োগ হতে চলেছে। অর্থ দপ্তর এই পদে ৭০ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিএসসির কাছে। একইভাবে পিএসসির কাছে রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তর ২০ জন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগের সুপারিশ পাঠিয়েছে। সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই এই নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে চলেছে পিএসসি। তাদের দাবি, বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এই পরীক্ষা কবে হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কেননা, করোনার কারণে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্বনির্ধারিত ৩৭টি লিখিত পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে তারা। স্বভাবতই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে, পিএসসির কাছে পরীক্ষা আয়োজন করা চ্যালেঞ্জের। তবে রাজ্য সরকার এই সময়েও নিয়োগের প্রক্রিয়া জারি রাখায় একে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পিএসসির এক কর্তার কথায়, লকডাউন পর্বে আমরা কাজ করেছি। বর্তমানে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই ডিজিটাল মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ের কাজ জারি রয়েছে। রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেই পিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দেবে। এক্ষেত্রে আগের বেশ কিছু নিয়মে বদল আনা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল, আগে একেকটি কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৬০০ জন পরীক্ষা দিতেন। এখন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে পরীক্ষা নিতে হলে কোনও কেন্দ্রেই ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি প্রার্থীকে বসানো যাবে না। ফলে আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি পরীক্ষা কেন্দ্র প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা গ্রহণের খরচও অনেকটা বেড়ে যাবে। তবে এরজন্য পরীক্ষার্থীদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে না বলে জানান ওই কর্তা। রাজ্য সরকার এই অতিরিক্ত খরচ বহন করবে।