অধ্যক্ষদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিমান

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিধানসভার অনেক বিধায়ক চলে যাচ্ছেন রাজ্যপালের কাছে।  অভিযোগ শুনে বিধানসভার খুঁটিনাটি বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল।

September 15, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় অধ্যক্ষ সম্মেলনে রাজ্যপালের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। 

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ‘লোকসভার সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নিতে গেলে লোকসভার অধ্যক্ষর অনুমতি নিতে হয়। বিধানসভার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। কিন্তু   বিধানসভার ক্ষেত্রে অন্য জায়গা থেকে অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে। এটা বিধানসভার মর্যাদার পরিপন্থী।

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন,   ‘কথায় কথায় বিধানসভার বিষয় কেউ কেউ আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন।  আদালত গ্রহণও করছে। যদিও, বিষয়টির নিষ্পত্তি বিধানসভাতেই সম্ভব।  এটা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়, সংসদীয় ব্যবস্থা বিপন্ন হওয়ার মুখে।  এনিয়ে আলোচনা দরকার, রক্ষা করতে হবে আইনসভার মর্যাদা।’ 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিধানসভার অনেক বিধায়ক চলে যাচ্ছেন রাজ্যপালের কাছে।  অভিযোগ শুনে বিধানসভার খুঁটিনাটি বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন রাজ্যপাল।

লোকসভার অধ্যক্ষের উদ্যোগে অধ্যক্ষদের এই সর্বভারতীয় সম্মেলন। 

বিজেপি অধ্যক্ষের সমালোচনা করেছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন,   ‘তৃণমূল নেতাই থেকে গিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতার ঊর্ধ্বে উঠে বিধানসভার অধ্যক্ষ হতে পারেননি।

শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন,  ‘বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে কী করতে পেরেছেন? বিধানসভার অধ্যক্ষ কি শুধুই দলবদলের নীরব সাক্ষী হয়ে থাকবেন?’

উল্লেখ্য, আগামী  ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর একটায় ইডি-সিবিআই-এর দুই অফিসারকে তলব করেছেন বিধানসভার স্পিকার। নারদ-মামলায়, তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে, নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে, তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen