বঙ্গ BJP-র গোষ্ঠীকোন্দল: রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে ঘিরে শুভেন্দু-শমীক ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে?
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১১:০০: সুকান্ত-শুভেন্দু পর্বের পর শমীক-শুভেন্দু যুগেও বহাল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি-বিরোধী দলনেতা বিরোধ! রাজ্যপাল ইস্যুতে এবার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিরোধ প্রকাশ্যে এল বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির। কথায় কথায় রাজভবনে দৌড়ে যান বিরোধী দলনেতা। কেউ কেউ বলেন সাদা বাড়িকে পদ্মের দ্বিতীয় পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু। সেই বাড়ির কর্তা আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে সোমবার শমীক ভট্টাচার্য তোপ দাগলেন। তাঁর কথায়, “রাজ্যে একটি রাজভবন আছে। সেখানে একজন রাজ্যপাল আছেন। তাঁর দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা। অথচ আমাদের রাজ্যে কোনও রাজ্যপাল আছেন তা বোঝার উপায় নেই।” শমীকের অভিযোগ, রাজভবনের বদান্যতায় রাজ্য সরকার চলছে বলে মনে করছে আম জনতা। মানুষের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপিকে নাজেহাল হতে হচ্ছে।
শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, রাজ্যে সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থাগুলি আক্রান্ত, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। অথচ রাজ্যপাল কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন না। দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষ রাজ্যপালকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন বলেও জানান শমীক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে একবারের জন্যও সাক্ষাৎ করেননি শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু হরিয়ানায় নবনিযুক্ত রাজ্যপাল প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি অসীম ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, শমীকের এহেন আচরণ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি বার্তা। বঙ্গ বিজেপির একাংশ আর আনন্দ বোসকে রাজ্যপাল হিসাবে চাইছেন না, সেই ইঙ্গিত হাবেভাবে বোঝাচ্ছেন শমীক।
এর আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর হিন্দু-মুসলমান ইস্যুতে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নেন শমীক ও শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বার বার হিন্দু ভোটারদের একত্রিত করার আহ্বান জানান। রাজ্য সভাপতির হলেই মুসলমানদের প্রতি ইতিবাচক বার্তা দেন শমীক। জানান, বিজেপি মুসলমানদের দূরে ঠেলে দিতে চায় না। তাঁদের হাতে লাঠি, বোমার বদলে বই ও পেন তুলে দিতে চায়। যা নিয়ে দলের অন্দরে জল ঘোলা চলছে। বঙ্গ বিজেপির রেলগাড়ি দুই শীর্ষনেতা দুই বিপরীতমুখী দিকে টানছেন, ভোটের ময়দানে আদৌ গাড়ি কি এগোবে?