বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে শুভেন্দু? রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের আগে দিল্লিযাত্রায় জল্পনা
কিছুদিন আগেই কলকাতায় অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুকে ‘পরম মিত্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বে কি বড় বদল আসছে? শুভেন্দু অধিকারী কী হবেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি? এই প্রশ্ন ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তার পরদিনই শনিবার সকালে দিল্লি উড়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে—তাঁকেই কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে ভাবছে দল?
প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে পুনর্নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই থেকেই তাঁকে রাজ্য নেতৃত্বের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সম্ভাবনা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। এক বছর কেটে গেলেও সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তবে অবশেষে শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পটনা সাহিবের সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ।
এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর হঠাৎ দিল্লি যাত্রা জল্পনার পারদ চড়েছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সোশাল মিডিয়ার পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার দিল্লির এমসে চিকিৎসাধীন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বঙ্গ বিজেপির ভবিষ্যৎ সভাপতির দৌড়ে প্রথম হওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সেটিং তত্ত্বকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। কারণ কিছুদিন আগেই কলকাতায় অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুকে ‘পরম মিত্র’ বলে সম্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফলে অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে শুভেন্দুর গুরুত্ব আরও বাড়ছে।
রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, শুভেন্দুই এখন পশ্চিমবঙ্গের পদ্মশিবিরের সবচেয়ে ‘গ্রহণযোগ্য’ মুখ। তাই দল যদি নেতৃত্ব বদলের পথে হাঁটে, তবে শুভেন্দুর নামই প্রথম সারিতে থাকবে। যদিও দলের মধ্যেই অন্য একটি অংশ ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির কথা টেনে মনে করাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে অমিত শাহকে যেমন সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল, তেমনই বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুভেন্দুর পক্ষে একই সঙ্গে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে নানা বিধ জল্পনার মাঝেও দিল্লি সফর যে নিছক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘দেখা করতে যাওয়ার’ বিষয় নয় রাজ্য বিজেপির অন্দরের চর্চায় তার ইঙ্গিত মিলেছে।