করোনা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দিতে হেল্পলাইন চালু করল বঙ্গ বিজেপি

করোনা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন বিজেপি নেতারা। এবার করোনা সংক্রান্ত কারও কোনও সমস্যা হলে, তার সমাধানে হেল্প লাইন চালু করল বঙ্গ বিজেপি। করোনা ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসকদলকে পালটা চাপে রাখার জন্যই এই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে জনসংযোগের ভিত আরও মজবুত করে নেওয়া লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

May 9, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন বিজেপি নেতারা। এবার করোনা সংক্রান্ত কারও কোনও সমস্যা হলে, তার সমাধানে হেল্প লাইন চালু করল বঙ্গ বিজেপি। করোনা ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসকদলকে পালটা চাপে রাখার জন্যই এই কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে জনসংযোগের ভিত আরও মজবুত করে নেওয়া লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।

দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা সমাধানে চালু হল নতুন হেল্প লাইন। ৯৭২৭২৯৪২৯৪ – এই নম্বর দিয়ে ক্যাচলাইন লেখা হয়েছে, ‘বিজেপি বাংলার পাশে, বাংলার মানুষের সাথে’। এই হেল্প লাইনে মিসড কল দিতে বলা হয়েছে দলের তরফে। করোনা প্রতিরোধে নিজেদের ব্যর্থতাকে লুকনোর জন্যই মিথ্যা কথা বলছে রাজ্য সরকার। পরিবারকে না জানিয়ে মৃতদেহ চুরি করে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। কত মৃত্যু বলছে না। রাজ্যের বিরুদ্ধে এমনই নানা অভিযোগে সরব বঙ্গ বিজেপি। সেসবের অবসানে তাঁরা হেল্পলাইন নং চালু করল, যাতে সঠিক তথ্য মিলবে বলে দাবি নেতাদের।

করোনা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান দিতে হেল্পলাইন চালু করল বঙ্গ বিজেপি

রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সবাই যখন করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় দল, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’’ তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছেন। তাঁর আরও পরামর্শ করোনার সংক্রমণ—মৃতু্যতে এগিয়ে বাংলা। টেস্টে পিছিয়ে। রাজ্যে পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আধা সেনার সাহায্য নিক রাজ্য। এমন পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, দিল্লিতে গিয়ে কোয়ারান্টাইনে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। রাজ্যে আসা ওই কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ছ’জন বিএসএফ জওয়ান ও গাড়ির চালক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের এ রাজ্যে ফেরানোর তাগিদ রাজ্য সরকারের নেই বলে মনে করেন দিলীপবাবু। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকার তো মাত্র ১৫ শতাংশ খরচ রাজ্যগুলির কাছ থেকে চেয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen