দমদমের তান্ত্রিককাণ্ডে নাম জড়ালো বঙ্গ BJP-র বিধায়কের – জানুন কেন
তন্ত্র সাধানার আড়ালে ধৃতরা ওইসব সামগ্রী পাচারের ছক কষছিল বলে মনে করছে বনদপ্তর ও পুলিশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার কলকাতার নাগেরবাজারের কাছে দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা তান্ত্রিক সৌরভ চৌধুরীর বাড়ি থেকে মেলে মানুষের মাথার খুলি থেকে শুরু করে পশুর চামড়া, হাড়, দাঁত, নখ ইত্যাদি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বনদপ্তর ও পুলিশের পক্ষ থেকে জ্যোতিষ ও তন্ত্র সাধনার নামে বেআইনি দ্রব্য পাচারের অভিযোগে তিনজন, রাখাল চৌধুরী, দুলাল অধিকারী এবং অরিজিৎ গুপ্তকে আটক করা হয়েছে। তান্ত্রিক সৌরভ চৌধুরী পালিয়ে যান, কিন্তু তারপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাখাল চৌধুরীর বাড়ি ছাড়াও দুলাল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে বন্য জীবজন্তুর চামড়া। তন্ত্র সাধানার আড়ালে ধৃতরা ওইসব সামগ্রী পাচারের ছক কষছিল বলে মনে করছে বনদপ্তর ও পুলিশ।
এবার এই ঘটনায় নাম আসছে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের। অভিযোগ উঠেছে যে বিধায়কের শ্যালক সঞ্জয় মন্ডল চোরাশিকারের সঙ্গে জড়িত এবং এই দমদমের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর ব্যবসায়িক সহযোগীও তিনি। তবে, কার্যত শ্যালকের সঙ্গে বিজেপির বিধায়ক জামাইবাবুর কতটা যোগাযোগ রয়েছে, পুলিশ সে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সৌরভের স্ত্রী থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশকে জানান, বাড়িতে তাঁর স্বামী হরিণের শিং, চামড়া, বাঘের নখ মজুত করেছে। ওই খবর পেয়েই ডিএফও’র নেতৃত্বে বন দপ্তর ও পুলিশ একসঙ্গে ফ্ল্যাটে হানা দেয়। এই যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর বনদপ্তর ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তিনিও এই অপরাধের সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত। এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক স্বপন চৌধুরীর নাম সামনে আসায় চর্চা শুরু হয়েছে । যদি এই অপরাধে বিজেপি বিধায়কের নাম জড়িয়ে পড়ে , তাহলে নিঃসন্দেহে তা ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি করবে রাজ্য রাজনীতিতে। এই ঘটনাটির জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।