তুমুল কোন্দলে অথৈ জলে বঙ্গ BJP-র রাজ্য কমিটি গঠন, শাহী হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় আদি শিবির

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৫০: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। বাকি মাত্র পাঁচ মাস কিন্তু এখনও নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করতে পারেনি বিজেপি। তুমুল মতবিরোধ রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। পদ ছাড়তে নারাজ অনেকে। নয়া রাজ্য কমিটিতে দলের পুরনোদের প্রাধান্য দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপির শমীক-শিবির। সব দিক সামাল দিয়ে নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে কার্যত দিশেহারা দিল্লির নেতারা। শোনা যাচ্ছে, সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় রাখতে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠনে মাঠে নামতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
বঙ্গ বিজেপির একাংশের মত, শাহ নিজে কমিটি গড়লে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কমবে। কোন্দল না-মিটলে শেষমেশ অমিত শাহ নিজেই ময়দানে নামবেন কমিটি গড়তে।
বিজেপির দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সভাপতি আসার পর নিজের কমিটি তৈরি করেন। শমীক ভট্টাচার্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর তিনমাস কেটে গেলেও নতুন কমিটি ঘোষণা হয়নি। বছর ঘুরলেই ভোট, নতুন কমিটি ঘোষণা হলে নতুনরা অল্প সময়ে কী ভাবে সংগঠন সামলাবেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদি শিবিরের সিংহভাগ সদস্যই এখনও নিষ্ক্রিয়। ফলে ছাব্বিশের ভোটের আগে কার্যত দিশাহীন বিজেপি।
বিজেপির অন্দরের খবর, নতুন রাজ্য সভাপতি শমীকের শিবির রাজ্য কমিটির একটি তালিকা পেশ করেছেন। তা মানতে চাইছে না আগের শিবির। একাধিক পদাধিকারীকে পদে পুনর্বহাল রাখতে গলা ফাটাচ্ছেন তাঁদের শিবিরের লোকজন। ভোটের কথা মাথায় রেখে নতুন রাজ্য কমিটিতে আদি-নব্য সমন্বয় রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বর্তমান কমিটিতে যাঁরা আছেন তাঁদের সরিয়ে দিলে ক্ষোভ বাড়বে। কমিটিতে পুরনোদের কাজের সুযোগ না-দিলে আদি শিবির ক্ষেপে যাবে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের বদল চাইছেন অনেকে। দাবি, ওই পদে নতুন কাউকে আনতে হবে। কিন্তু সংগঠন সম্পাদককে বদল করলে, নতুন পদাধিকারী ভোট সামলাবেন কী করে? দিল্লির নেতারা সন্দিহান।