মহালয়ার আগেই বিষ্ণুপুরে শুরু মল্লরাজদের ১০২৯ বছরের দুর্গাপুজো

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:২০: বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের প্রাচীন দুর্গাপুজোর শুভসূচনা আজ মঙ্গলবার থেকে। সকালেই মৃন্ময়ী মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলেন বড় ঠাকুরানি বা মহাকালী। রাজ পরিবারের বধূরা তাঁকে বরণ করেন। তিনটি করে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় আদি বাংলার এই দুর্গাপুজো।
এই বছরের পুজো ১০২৯তম বর্ষে পদার্পণ করল। এই দিন কৃষ্ণা নবমী তিথিতে গোপালসায়রে স্নান সম্পন্ন করে মন্দিরে আনা হলো বড় ঠাকুরানি, অর্থাৎ মা মহাকালীকে। দেবীপক্ষের চতুর্থী তিথিতে মন্দিরে আসবেন মেজ ঠাকুরানি বা মা মহালক্ষ্মী।

সপ্তমীর দিনে মন্দিরে আসবেন ছোট ঠাকুরানি, অর্থাৎ মা মহাসরস্বতী। তবে এই তিন দেবী মূর্তির মাধ্যমে নয়, পটচিত্রে পূজিত হন, যা স্থানীয় ফৌজদার পরিবারের হাতে আঁকা। এদিকে, গঙ্গামাটি দিয়ে নির্মিত মা মৃন্ময়ী বছরের সকল দিনই পূজিত হন। আজ থেকে আগামী পনেরো দিন রাজপরিবারের সদস্যরা নিরামিষ আহার গ্রহণ করবেন।

মন্দিরের রাজপুরোহিত সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ১৯তম মল্লরাজা জগৎমল্লের হাত ধরে শুরু হয়েছিল পুজো। সেই সময় এক বটগাছের তলায় দেবীর দৈববাণী পান জগৎমল্ল। এরপর থেকে বিষ্ণুপুরে স্থানান্তরিত হয় মন্দির।

রাজত্ব আর নেই, রাজপ্রসাদও কালের নিয়মে মিশেছে মাটিতে। তবুও রীতি অটুট আছে। প্রতিটি পুজোর নির্ঘণ্ট আজও তোপধ্বনির মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। মল্লরাজ পরিবারের উত্তরসূরিরা এখনও এই প্রথা মেনে চলে।
মন্দিরের রাজপুরোহিত বলেন, “আজও নয়টি তোপ ধ্বনির মাধ্যমে বড় ঠাকুরানি মন্দিরে প্রবেশ করেন। এই পুজো আজ ১০২৯ বর্ষে পদার্পণ করল।”