হোমস্টে-র মন্ত্রবলেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার পর্যটন?

করোনার দাপটে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের বেড়ানোর ইচ্ছের হত্যা হয়েছে। পর্যটন শিল্প সবচয়ে বড় বিপর্যয়ে।

June 30, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাবা দাদুর মুখে শোনা হাওয়া বদলের গল্প মনে আছে? শরীর খারাপ থেকে সেরে ওঠার সময় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিতেন পশ্চিমের হাওয়ায় খানিকটা ঘুরে আসতে। সেই হাওয়া বদলের দিন গিয়েছে। কিন্তু শরীর খারাপ তো যায়নি। বরং এখন সামগ্রিক ভাবে সকলের শরীর খারাপের আশঙ্কা করোনা হাওয়ায়।

করোনার দাপটে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের বেড়ানোর ইচ্ছের হত্যা হয়েছে। পর্যটন শিল্প সবচয়ে বড় বিপর্যয়ে। ভারতেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কা।

পর্যটন ব্যবস্থাকে আবার আলোয় ফেরানোর ব্যাপারে বিকল্প ব্যবস্থা কী? 

হোমস্টে-র মন্ত্রবলেই ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার পর্যটন

বাংলার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তিনটি রাস্তাই দেখা যাচ্ছে আপাতত।

এক, হোটেলের বদলে হোমস্টে-তে থাকার ব্যাপারে জোর দিতে হবে। দুই, বিমান বা ট্রেনের বদলে বেড়ানো ভালো কোনও গাড়িতে। তিন, বিদেশ বা ভিন রাজ্য নয়, নির্ভয়ে ঘুরুন বাংলাতেই।

সপ্তাহান্তে নিজের গাড়ি চালিয়েই আপনি হাজির হলেন উত্তরবঙ্গ, দীঘা বা সুন্দরবন বা অযোধ্যা পাহাড়ে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা জানাচ্ছেন, আতিথেয়তা হবে বাবা দাদুর মুখে শোনা হাওয়া বদলের মতই। 

একটা হোমস্টে-র সুবিধে কি? 

একটি মাত্র পরিবারই গিয়ে থাকতে পারবে ইচ্ছেমতো। বাড়ির মালিকের সঙ্গেও বিশেষ দেখাসাক্ষাৎ হবে না। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি – সামনের মাস থেকেই এ ভাবে সেখানে যেতে পারেন আপনি। 

আলিপুরদুয়ার জেলা পর্যটন সংস্থা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নিয়ে সাপ্তাহিক ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করেছে। কোভিড থেকে বাঁচার পদ্ধতি শেখানো হবে তাঁদের। পুরুলিয়া-বাঁকুড়াতেও একই রাস্তা ভাবা হচ্ছে। সুন্দরবনে তো অনেকে শুরুও করে দিয়েছেন যেতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen