আবারও ওড়িশায় বাঙালি হেনস্থা, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক বীরভূমের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২৮: একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বলার জন্য বাঙালিদের উপর অত্যাচার ও ধরপাকড় চলছে। ফের বিজেপি শাসিত ওড়িশা ঘটল একই ঘটনা। বীরভূমের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখার অভিযোগ সামলে এল। সবর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চও। ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রামাণ্য সব নথি পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাঁচ শ্রমিককে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে রবিবার মুক্তি দিলেও আপাতত কয়েকদিন স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে বলেছে পুলিশ।
প্রায় ৪০ বছর ওই এলাকায় কাজ করার পর এখন হঠাৎ কেন হেনস্তা, প্রশ্ন শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, ওড়িশার নলহাটির ভগলদিঘি গ্রামের আব্দুল আলিম শেখ ও তাঁর দুই ভাই আতাউর রহমান শেখ, সেলিম শেখ এবং এদের খুড়তুতো ভাই নূর আলম শেখ ও ভাগ্নে মনিরুল ইসলাম কাজের সূত্রে ওড়িশার ভদ্রকে থাকেন। আগরপাড়া থানার পুসুন্দি গ্রামে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তাঁরা। কাঁসা-পিতলের পুরোনো জিনিসপত্র, লোহার ভাঙাচোরা সামগ্রী কেনাবেচার ব্যবসা করেন। অভিযোগ, শনিবার ১১টা নাগাদ নথি যাচাইয়ের কথা বলে আগরপাড়া থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁদের লক্ষ্মীবাজার এলাকার এক কালীমন্দিরের সামনে এনে রাখা হয়। শ্রমিকদের দাবি, জায়গাটি ছিল ডিটেনশন ক্যাম্প।
নির্যাতিতদের তরফে জানা গিয়েছে, শনিবার হঠাৎ পুলিশ এসে তাদের বলে, বড়বাবু ডেকেছেন। থানায় কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি। আধার ও ভোটার কার্ড নিয়ে একটি কাগজে সই করে নেয়। রাতে ভদ্রক কালীমন্দিরের সামনে ডিটেনশন ক্যাম্পে তাদের রেখে চলে যায়। বাংলাদেশি সন্দেহে ধরা হয়েছে বলে বলাবলি করছিল পুলিশ। দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারগুলি।