বাঙালি হেনস্থা: দেশের ১০ রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব সুপ্রিম কোর্টের
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের ১০টি রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল শীর্ষ আদালত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩৩: দেশজুড়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর হেনস্থার ঘটনা সামনে আসছে। অভিযোগ, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করছে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে এমন ধরপাকড় বন্ধের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ অন্তবর্তী নির্দেশ না-দিলেও মামলার শুনানিতে কোনও আপত্তি জানায়নি। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট. দেশের ১০টি রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল শীর্ষ আদালত।
রাজ্য মাইগ্রেন ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। গত শুক্রবার তিনি মামলাটি করেন, আজ, বৃহস্পতিবার ছিল মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। অভিযোগ শুনে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ওড়িশা সহ দশ রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় সরকারও। সবার বক্তব্য জানতে চায় আদালত। আগামী সপ্তাহে ফের মামলার শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলা এবং সেই ভাষায় থাকা নথির কারণে অনেককে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। প্রশান্তের কথায়, ‘‘প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে তদন্ত চলার মাঝেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের উপর নির্যাতনও করছে পুলিশ। তদন্তে আমাদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু তাঁদের এ ভাবে আটকে রাখা ঠিক নয়।’’
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে গুরুগ্রাম, নয়ডা সহ একাধিক জায়গায় ঘুরেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। কথা বলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্কে রয়েছেন শ্রমিকরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা হয়। দিল্লিতে একটি পরিবারকে আটকে রাখার অভিযোগে সেই মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একাধিক প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিল হাইকোর্ট।