‘প্রথমা কাদম্বিনী’ সিরিয়াল থেকে সরে যাচ্ছেন পরিচালকও

যাঁদের হাত ধরে সিরিয়ালটি এগিয়ে চলেছে, তাঁরাই সিরিয়াল থেকে সরে যাচ্ছেন।

July 20, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুরু হওয়ার পর থেকেই ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ দর্শকের ভাল লাগার তালিকায়। কিন্তু এই সুখবরের মধ্যে হঠাৎ চিন্তার মেঘ ঘনিয়েছে। যাঁদের হাত ধরে সিরিয়ালটি এগিয়ে চলেছে, তাঁরাই সিরিয়াল থেকে সরে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার এবং ধারাবাহিকের লেখক ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সাহানা দত্ত।

‘প্রথমা কাদম্বিনী’র পরিচালক স্বর্ণেন্দু ধারাবাহিক ছাড়ার নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফকে। এতে বিপাকে পড়েছে চ্যানেল। কিন্তু সফল সিরিয়াল হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ার কারণ কী? স্বর্ণেন্দু বললেন, ‘‘এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমার সঙ্গে চ্যানেল বা প্রযোজক সংস্থার কোনও মতানৈক্য হয়নি। সাহানাদিকে (দত্ত) নিজের দিদি বলেই মানি। তিনি এসভিএফ ছাড়লেন, সিরিয়াল থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন। তাই আমিও ধারাবাহিকটির সঙ্গে আর একাত্মবোধ করতে পারব না।’’

পরিচালকের দাবি, তাঁর সরে আসার পিছনে পরোক্ষে রয়েছে সাহানা দত্তের এসভিএফ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। তাঁদের এই পদক্ষেপ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার পথে অন্তরায় হবে কি না, সেটা যেমন একটা প্রশ্ন, তেমনই প্রযোজক সংস্থার পক্ষেও এটা বড় ধাক্কা। কারণ সাহানা ও স্বর্ণেন্দুর হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘পটলকুমার গানওয়ালা’, ‘ত্রিনয়নী’, ‘গোপাল ভাঁড়’-সহ অনেক ধারাবাহিক।  

কিন্তু করোনার আবহে সাহানার এই সিদ্ধান্তের কারণ কী? লকডাউন পরবর্তী সময়ে বন্ধ হচ্ছে একের পর ধারাবাহিক। ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ নিয়ে অন্য একটি চ্যানেলের সঙ্গে এসভিএফের ঠান্ডা লড়াইও চলছে। শোনা গিয়েছে, এ রকম নানা কারণ নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে সাহানার মতানৈক্য চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত মিটমাট না হওয়ায় তিনি এসভিএফ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এসভিএফ ছাড়লেন তিনি। শোনা গিয়েছে, নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস খুলতে চলেছেন সাহানা। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলব না। আর স্বর্ণেন্দু কী কারণে ছেড়েছে, সেটা বলার আমি কেউ নই।’’

এই প্রসঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর বক্তব্য, ‘‘সাহানা আমাদের কাছে শুধু চিত্রনাট্যকার নন, পরিবারের অংশ। এই নিয়ে রটনায় অংশ নিতে চাই না।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen