বাংলার শ্রমিকদের চরম হেনস্তা, নিগ্রহ ওড়িশায়

জানা গিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে ওড়িশার সম্বলপুরে যান জনা ২০ শ্রমিক

April 30, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি কাজের সন্ধানে ওড়িশায় গিয়ে চরম হেনস্তা ও নিগ্রহের মুখে পড়েছেন বেলডাঙার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। ভয়ে ও আতঙ্কে কাজ ফেলে বাড়ি তড়িঘড়ি পালিয়ে এসেছেন তাঁরা। বেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস জিরো এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গোটা ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে তুলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বেলডাঙার বিধায়ক মহম্মদ হাসানুজ্জামান। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃজনক ও নিন্দনীয়।’

জানা গিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে ওড়িশার সম্বলপুরে যান জনা ২০ শ্রমিক। কাজে যোগ দেওয়ার পরেই স্থানীয় ক’জন বাসিন্দা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রতি বছরই বেলডাঙা-১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ওড়িশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। তাঁদের উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্কে আছেন অন্যান্য শ্রমিকরাও। বেলডাঙার ঝুনকা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বেলডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সম্বলপুরে আমরা যখন প্রায় কুড়িজনের একটি দল কাজে যাচ্ছিলাম, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী আমাদের নাম এবং ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে হেনস্থা করেছে। আমরা সকলেই আতঙ্কে ওড়িশা ছেড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছি।

তাঁদের অভিযোগ, আধার কার্ড কেড়ে নিয়ে ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।’ বেলডাঙার ঝুনকা গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল কাজের সময়েই চাকু, পিস্তল, চেন, রড, লাঠি হাতে ক’জন হাজির হয়ে আমাদের আধার কার্ড দেখতে চায়। কার্ড দিলে সেটা না দেখেই ছিঁড়ে ফেলে। এর পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মারতে মারতে রাস্তা দিয়ে লম্বা লাইন করিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় আমাদের। লোকজন ওইসব মুহূর্তের ভিডিও করে রাখছিল। আমরা তো শুধুমাত্র কাজ করতে গিয়েছিলাম। এভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারছি না। কয়েকজন শ্রমিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের এমন মারধর করা হয়েছে যে চোট গুরুতর। জয়নাল আবেদিন নামে এক শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen