অসমে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বাঙালি শ্রমিককে নিগ্রহ, দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল সাংসদ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:২০: অসমে ফের বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠল। মুর্শিদাবাদের এক শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি’ অপবাদ দিয়ে মারধর এবং যৌন হেনস্তার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলচরে। পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি। শেষমেশ আসরে নামেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। তাঁর হস্তক্ষেপে ও লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
নির্যাতিত ওই শ্রমিকের নাম রিঙ্কু শেখ। তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নুরপুরে। কাজের সূত্রে তিনি বর্তমানে শিলচরের চামড়াগুদাম এলাকায় থাকেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার সকালে রোজকার মতোই ভ্যান নিয়ে ফেরি করতে বেরিয়েছিলেন রিঙ্কু। রাধামাধব রোড এলাকায় পৌঁছতেই স্থানীয় কিছু মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরে। অভিযোগ, ‘বাংলাদেশি ধরেছি’ বলে চিৎকার করতে করতে শুরু হয় মারধর।
রিঙ্কু শেখের দাবি, তিনি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজের পরিচয়পত্র এবং যাবতীয় নথি দেখান। কিন্তু হামলাকারীরা তা দেখতে অস্বীকার করে এবং তাঁকে ক্রমাগত মারধর করতে থাকে। শুধু মারধরই নয়, তাঁর ওপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজের মালপত্র ও ভ্যান ফেলেই সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান রিঙ্কু।
তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব কাছাড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার পার্থপ্রতীম দাসকে লেখা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা বজরং দলের সদস্য। রিঙ্কু শেখ প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা গুরুত্ব দেয়নি। পরে সাংসদ নিজে উদ্যোগী হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান।
সুস্মিতা দেব বলেন, “একজন ভারতীয় নাগরিককে শুধুমাত্র তাঁর ধর্ম এবং ভাষার ভিত্তিতে বিদেশি তকমা দিয়ে এমন পাশবিক নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।”