ডবল ইঞ্জিন ওড়িশায় ফের বাঙালি নিগ্রহ! বাংলাদেশি তকমায় ১৭ শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:২১: একের পর এক বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাঙালি শ্রমিকেরা। এবার ডবল ইঞ্জিন ওড়িশার (Odisha) বাংলার ১৭ শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ও রঘুনাথগঞ্জের ১৭ জন শ্রমিককে বাংলাদেশি (Bangladeshi) সন্দেহে আটক করে থানায় নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ। শ্রমিকদের পরিবারের দাবি, বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের রাতভর থানায় আটকে রেখে অত্যাচার করা হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ফারুক জানান, প্রথমে শ্রমিকদের কেন্দ্রপড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের আলাদা আলাদা করে কেন্দ্রপড়া টাউন, সদর, রাজনগর এবং আরও একটি থানায় রাখা হয়। এর মধ্যে কেন্দ্রপড়া থানায় ১২ জনকে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, শ্রমিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং ঠিকাদার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকেও আটক করে হেনস্থা করা হয়।
এর আগে শমসেরগঞ্জ ও ভগবানগোলার শ্রমিকরাও একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। গত সপ্তাহে ভগবানগোলার ১১ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছিল, পরে রাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আটকে থাকা শ্রমিক সইফুদ্দিন মোমিনের ভাই নাসিম আনসারি বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার অনেকেই গত ২০-৩০ বছর ধরে কটক ও ভুবনেশ্বরে কাজ করছেন। আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। এবার মহিশাস্থলি গ্রামের ১০ জন ও বাহাগুলপুর গ্রামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে। খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়নি। বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের কুঁড়েঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।’’
শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের কাছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড-সহ সমস্ত বৈধ নথি রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে মিথ্যা অভিযোগে বন্দি করেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, হস্তক্ষেপের পর শ্রমিকদের মুক্ত করা হয়েছে। ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ শামসুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘‘ওড়িশায় যাঁদের অবৈধ ভাবে আটক করা হয়েছিল, ওই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’