পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ঘোষণায় চাঙ্গা বাংলার অর্থনীতি, উপকৃত শিল্পী থেকে উদ্যোক্তারা

ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের মতে, বিদ্যুৎ ছাড়ের ফলে বড় পুজো কমিটিগুলি যেমন উপকৃত, তেমনি অনুদানে সঞ্জীবিত হচ্ছে ছোট পুজোগুলি।

August 2, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২.৫৫: দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এখন বাংলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সেই পুজো ঘিরেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় শুধু এককালীন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার অনুদানই নয়, পুজো কমিটিগুলি পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের ৮০% ছাড়, পুরসভা ও দমকলের ফি মকুব, এমনকি বিজ্ঞাপন করও মাফ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার সুবিধা মিলছে রাজ্যের প্রায় ৪৪ হাজার সর্বজনীন পুজোর।

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার ফলে রাজ্যের কুমোর, থিম শিল্পী, ডেকরেটর, ঢাকী ও অন্যান্য শিল্পীরা যেমন খুশি, তেমনই চাপে না পড়ে আরও জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর আয়োজনের পথও খুলে যাচ্ছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শহরের হোর্ডিংগুলিতে বিজ্ঞাপন কর ছাড় দেওয়ার ফলে পুরসভা বছরে ১০-১২ কোটি টাকা আয় হারালেও, সেই অর্থ পরোক্ষভাবে পুজো কমিটিগুলিকেই সহায়তা করছে।

২০১১ সালে অনুদান শুরু হয়েছিল ২৫ হাজার দিয়ে। করোনা পরিস্থিতিতে তা বেড়ে হয় ৫০ হাজার। এবার তা বেড়ে ১.১০ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই উৎসব রাজ্যের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যেখানে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার হয়, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ এর সঙ্গে জীবিকানির্ভর হয়ে থাকেন।

বিভিন্ন জেলার পুজো কমিটির প্রতিক্রিয়া, পুজো বাজেট তৈরি অনেক সহজ হয়েছে। পুরুলিয়ার ঝালদা, মালদহের ইংলিশবাজার, বোলপুর, হুগলি, কোচবিহার – সব জায়গার পুজো উদ্যোক্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, পুজোয় চাঁদা তোলার দরকার থাকছে না এবার, সবটাই সামলে দিচ্ছে সরকার।

অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, দুর্গাপুজোর জন্য বাংলার জিডিপি ৭-৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের মতে, বিদ্যুৎ ছাড়ের ফলে বড় পুজো কমিটিগুলি যেমন উপকৃত, তেমনি অনুদানে সঞ্জীবিত হচ্ছে ছোট পুজোগুলি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen