ভেটাগুড়ির বিখ্যাত জিলিপি কিনতে লাইন পড়ছে কোচবিহারের রাসমেলায়

মেলায় অনেক জিলিপির দোকান রয়েছে। এখনও রাসমেলার সেরা ভেটাগুড়ির জিলিপি

November 29, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোচবিহারের রাসমেলায় খাবারের কথা উঠলেই ভেটাগুড়ির বিখ্যাত রসালো জিলিপির নাম এসে পড়ে। রাসমেলায় এসে ভেটাগুরির বিখ্যাত জিলিপি খাননি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। রাসমেলার এই মুচমুচে জিলিপি খেতে মুখিয়ে থাকেন সকলে।

মেলায় অনেক জিলিপির দোকান রয়েছে। এখনও রাসমেলার সেরা ভেটাগুড়ির জিলিপি। মেলার আসা দর্শনার্থীদের কাছে ভেটাগুড়ির জিলিপির বিশেষ কদর আছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, ভেটাগুড়ির জিলিপির দোকানের সামনে প্রতিদিন লাইন পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মুচমুচে জিলিপি কিনছেন মেলায় আসা মানুষজন। মেলার শুরুতে প্রতিদিন ৮-৯ কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হলেও, এখন প্রতিদিন ২২-২৩ কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হচ্ছে। দোকানের প্রতিষ্ঠাতা বিধুবাবুর পুরানো ফর্মুলায় আজও তৈরি হয় এই জিলিপি। একশো বছরের বেশি আগে রাসমেলার পাশাপাশি ভেটাগুড়িতে জিলিপির দোকান খুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা বিধুভূষণ নন্দী। তা প্রায় ছ’দশক আগে বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর পরিবারের উত্তরসূরীরা মিষ্টির ব্যবসা না করলেও পূর্বপুরুষের স্মৃতিকে ধরে রাখতে জিলিপির পসরা নিয়ে প্রতিবছর রাসমেলায় হাজির হন। সেই সময়কার ফর্মুলা মেনেই এখনও জিলিপি তৈরি করা হয়। ভেটাগুড়ির জিলিপি তৈরির উপকরণ ও রস তৈরির ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এখনও অক্ষরে অক্ষরে তা মানা হয়।

কোচবিহার রাসমেলা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় প্রাচীন মেলা। এবার মেলার ২১২ বছর। ১৮১২ সালে ভেটাগুড়ি থেকে প্রথম রাসমেলার শুরু। ওই বছর রাসপূর্ণিমায় কোচবিহারের মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণ ভেটাগুড়িতে নবনির্মিত রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন। সেই উপলক্ষ্যে ভেটাগুড়িতে প্রথম রাসমেলা বসে। পরিবর্তীতে মদনমোহন বাড়িতে রাস উৎসব ঘিরে রাসমেলা বসে মন্দির সংলগ্ন মাঠে। আজও সেই মেলা চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen