ভারতীয় চাষিদের জল দেওয়া বন্ধ করল ভুটান

চিন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের বিবাদের মাঝে ভুটানের কাণ্ড তেমন একটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে তারাও এবার ভারতীয় চাষিদের জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

June 25, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

একদিকে চিন। আরেকদিকে নেপাল। দুই প্রতিবেশী দেশের উৎপাতে অতিষ্ঠ ভারত। চিন ও নেপাল, দুই দেশই ভারতীয় সীমান্তে একের পর এক বেআইনি কাজ করে চলেছে। চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের কুড়ি জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ওদিকে বিহারের লাগোয়া সীমান্তে নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সাধারণ এক গ্রামবাসী। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও তিনজন। চিন ও নেপালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার উৎপাত করে চলেছে ভুটান। তবে চিন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের বিবাদের মাঝে ভুটানের কাণ্ড তেমন একটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে তারাও এবার ভারতীয় চাষিদের জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

ভারতীয় চাষিদের জল দেওয়া বন্ধ করল ভুটান

অসমের বাকসা জেলা দিয়ে প্রবাহিত চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় কৃষকরা চাষের জন্য জল পেতেন। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছিল ওই সেচ চ্যানেল। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ডং। অসমের বাকসা জেলার অন্তর্গত ২৬টি গ্রামের বহু কৃষক ওই চ্যানেলের জলের উপর নির্ভরশীল। ১৯৫৩ সাল থেকে ওই চ্যানেল দিয়ে ভুটান থেকে জল প্রবাহিত হয়ে আসে। ওই এলাকার চাষিরা ওই জল চাষের কাজে ব্যবহার করেন। কিন্তু এবার ভুটান হঠাৎ করেই ওই চ্যানেলের প্রবাহ আটকে দিয়েছে। ফলে মহাসমস্যায় পড়েছেন বাকসা জেলার ২৬টি গ্রামের চাষিরা। চাষবাসের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

ভুটান সরকার অবশ্য কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। কেন চ্যানেলের জলের প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে একটা কথাও বলছে না ভুটানের প্রশাসন। কিন্তু ইতিমধ্যে বাকসা জেলার চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ওই জেলার কৃষকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলের মাঝেও ভুটান সরকার কোনও কথা বলেনি। গত কয়েক দশক ধরে ওই এলাকায় চাষীদের জল দিয়ে আসছে ভুটান। তার জন্য ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ভারত। বাকসা জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাপারটি নিয়ে আবেদন করেছে। কালিপুর, বোগাজুলি ও কালানদী অঞ্চলের ডং বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সমিতির ব্যানারে জেলার কৃষকরা নিজেদের বিক্ষোভ ও দাবির কথা লিখে তুলে ধরেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen