বিশ্বের সবথেকে বড় মন্দির মায়াপুরে

স্থাপিত হয়েছে ভগবানের মূর্তি। চলছে পূজা-অর্চনাও।

August 23, 2020 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিশ্ব জুড়ে কৃষ্ণ ভক্তের সংখ্যা অনেক। আর সেই ভক্তদের জন্যই তীর্থস্থান মায়াপুরে খুলে যাচ্ছে বিশ্বের সবথেকে বড় মন্দির। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা হবে সেখানে। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে সেই মন্দিরের পূজারি ফ্লোর। স্থাপিত হয়েছে ভগবানের মূর্তি। চলছে পূজা-অর্চনাও।

কিন্তু বিশ্বের সবথেকে বড় সেই মন্দির সম্পূর্ণভাবে ভক্তদের দর্শণের জন্য খুলতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। ২০২২-এ খুলে যাবে সেই মন্দির। তবে জোরকদমে চলছে কাজ। মন্দিরের প্রত্যেকটা কোণায় থাকবে ভাস্কর্যের নিদর্শন। রয়েছে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বেরর মূর্তি।

সিলিং-এর কারুকার্য

এক লক্ষ স্কোয়্যার ফুট জুড়ে তৈরি হচ্ছে সেই মন্দির। ২০২২-এর মধ্যে মন্দির তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘বেদিক প্লানেটারিয়াম’ নামে ওই মন্দির শুধুমাত্র বিশ্বের সবথেকে বড় নয়, এটি হয়ে উঠবে যেন আধুনিককালের এক প্রাসাদ।

মন্দিরের টপ ভিউ

বিশাল বড় বড় ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো হচ্ছে এই মন্দির। প্রার্থনার লাইভ সম্প্রচার হবে গোটা বিশ্ব জুড়ে। আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রার্থনার সম্প্রচার করা হবে।

প্রায় বছর দশেক আগে এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’কোটি কিলোগ্রাম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে এই মন্দির তৈরির কাজে।

প্রত্যেকটি ফ্লোরের আকার হবে এক লক্ষ স্কোয়্যার ফুট। আর এই মন্দিরের গম্বুজ হবে বিশ্বের সবথেকে বড় আর একেবারে আলাদা।

৩৮০ ফুট উঁচু সেই মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নীল রঙের বলিভিয়ান মার্বেল। এতে রয়েছে পাশ্চাত্য স্থাপত্যের প্রভাব। বেদের সংস্কৃতি গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে।

মন্দির কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সদাভূজ দাস বলেন, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশ্রণে এই মন্দির তৈরি হচ্ছে। ভিয়েতনাম থেকে মার্বেল আনা হয়েছে। কিছু মার্বেল ভারতেও তৈরি হয়েছে।’ ২০ মিটার লম্বা ঝাড়বাতি বানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই মন্দিরে একসঙ্গে ১০,০০০ ভক্ত উপাসনা করতে পারবেন। গোটা বিশ্বের মানুষকে মায়াপুরে নিয়ে আসার জন্যই এমন মন্দির।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা।

ছবি সৌজন্যে: TOVP.ORG

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen