কুকুরের পর এবার ট্র্যাক্টরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু বিহারে!

তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিষয়টি শুরুতে আমলাতান্ত্রিক হাস্যরসের মতো লাগলেও এখন তা গণতন্ত্রের উপর আঘাতে পরিণত হয়েছে।

July 29, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.৫০: সম্প্রতি বিহারে ‘ডগ বাবু’র নামে স্থায়ী বসবাসকারীর শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। সেই শংসাপত্রে ‘ডগ বাবু’র বাবা-মায়ের নামের জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে কিছু ‘আপত্তিকর’ শব্দ। শংসাপত্রে একটি কুকুরের ছবিও রয়েছে। এমনকি রয়েছে বিহার সরকারের সিলমোহরও। সেই শংসাপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে টেনেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে এক হাত নেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নাম বাদ দিয়ে কুকুরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। এসআইআরের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করছে। সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে কুকুরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু করে ফেক ভোটার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। যাতে ভোট লুট করে বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে কমিশন।’

এবার একটি ট্র্যাক্টরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে বিহার সরকার! আর এইসব নথি ব্যবহার করেই নাকি নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি মানা হচ্ছে — এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক টুইট করে বলা হয়েছে, “আগে কুকুর, এবার ট্র্যাক্টর। দু’জনকেই বিহার সরকার বাসিন্দার শংসাপত্র দিয়েছে। এই সার্টিফিকেটগুলোকেই প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশনের ‘SIR’ কর্মসূচি, যেখানে ইতিমধ্যেই লাখো গরিব ও প্রান্তিক মানুষের নাম নির্বিচারে ভোটার তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে।”

তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিষয়টি শুরুতে আমলাতান্ত্রিক হাস্যরসের মতো লাগলেও এখন তা গণতন্ত্রের উপর আঘাতে পরিণত হয়েছে। প্রকৃত নাগরিকরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অথচ একটি ট্র্যাক্টরের নাম উঠে আসছে ভোটার তালিকায়! এ যেন নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার সরাসরি অপমান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen