Bihar SIR: নাম বাদ পড়ার নিরিখে শীর্ষে কোন জেলা, স্পষ্ট কোন প্রবণতা?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২৯: বিহারে SIR-র পর ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, বাদ পড়া ভোটদাতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠই সীমান্তবর্তী জেলার বাসিন্দা। বাদ পড়া নামের নিরিখে শীর্ষ তিন জেলার মধ্যে দু’টিই বাংলা সংলগ্ন ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭.৯ কোটি। SIR-র পর ৮.৩১ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি নাম বাদ গিয়েছে। গোপালগঞ্জ উত্তরপ্রদেশ সীমান্তলাগোয়া জেলা। গোপালগঞ্জ থেকে ১৫.১ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থানে রয়েছে পূর্ণিয়া এবং কিষানগঞ্জ। SIR-র পর পূর্ণিয়া থেকে ১২.০৮ শতাংশ এবং কিষানগঞ্জ থেকে ১১.৮২ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।
সীমান্তবর্তী বাকি দুই জেলা, যথাক্রমে কাটিহার থেকে ৮.২৭ শতাংশ এবং আরারিয়া থেকে ৭.৫৯ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এই জেলাগুলিতে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি। ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, কিষানগঞ্জে মুসলমানদের বাস সবচেয়ে বেশি ৬৭.৮৯ শতাংশ। কাটিহারে ৪৪.৪৭ শতাংশ, আরারিয়ায় ৪২.৯৫ শতাংশ এবং পূর্ণিয়ায় ৩৮.৪৬ শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলমান ভোটার আছেন। নেপাল সীমান্তবর্তী মধুবনীতে ১০.৪৪ শতাংশ এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী ভাগলপুর ১০.১৯ শতাংশ ভোটার বাদ পড়েছেন।
নাম বাদের কারণ হিসাবে পরিসংখ্যান বলছে, স্থায়ী ভাবে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ৩৯.২৯ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। ৩৩.৫৭ শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। ১৮.২৫ শতাংশ ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। নকল বা অতিরিক্ত নামের জন্য আরও ৮.৮৯ শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন অনুপস্থিত ভোটারের নাম সীমান্তবর্তী আঞ্চলে বেশি। বাদ পড়া ভোটারের তালিকায় পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশি। সীমান্তবর্তী চার জেলা থেকে মোট ৫৬.৭১ শতাংশ মহিলা ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। গোটা বিহারেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে।