Bihar voter list controversy: জীবিত মিন্টু পাসওয়ানকে মৃত ঘোষণা করে বিতর্কে কমিশন
মিন্টু পাসওয়ান, পেশায় গাড়িচালক, বহু বছর ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, ২০১৪, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:২৮: বিহারের আরা বিধানসভা কেন্দ্রের ৪১ বছর বয়সী মিন্টু পাসওয়ানকে মৃত হিসেবে দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও তিনি জীবিত। ১২ আগস্ট নিজের হাজিরা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এ ঘটনা প্রমাণ করেছেন।
মিন্টু পাসওয়ান, পেশায় গাড়িচালক, বহু বছর ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, ২০১৪, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এবারও ফর্ম পূরণ করেছিলেন, তবুও তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
পাসওয়ান বলেন, “আমার নাম বাদ দেওয়ার সময় কোনও নথি চায়নি কমিশন। এখন ফের নাম যুক্ত করতে ব্যাংক নথি, স্কুল সার্টিফিকেট, আধার কার্ড সব চাইছে। এত ঝামেলা আগে কখনও হয়নি।” তিনি জানান, তাঁর ভাইকেও মৃত দেখানো হয়েছে।
অভিযোগ দায়েরের পর প্রথমবার বুথ লেভেল অফিসার বাড়িতে এসেছেন। পাসওয়ান বলেন, “একজন মানুষ বেঁচে আছেন কি না, প্রতিবেশী জিজ্ঞেস করলেই বোঝা যায়। অথচ যাচাই না করেই নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।”
১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটার বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে ২২ লক্ষকে মৃত, ৩৬ লক্ষকে ‘স্থায়ীভাবে সরে গেছেন’ এবং ৭ লক্ষকে ডুপ্লিকেট দেখানো হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, বাস্তবে বাদ পড়ার সংখ্যা আরও বেশি।
আদালতে হাজির করা হয় রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদবকে। তিনি বলেন, “এটি কোনো ছোটখাট ভুল নয়, বরং বড় ‘মাস এক্সক্লুশন’ চালু হয়েছে।”
সিপিআই(এমএল)-এর বিধায়ক শিব প্রকাশ রঞ্জনও মিন্টু পাসওয়ানকে আদালতে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, অন্তত চারজনকে মৃত দেখানো হয়েছে যারা জীবিত।
তিনি আরও বলেন, “গরিব ও অভিবাসী শ্রমিকদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। যারা বহুবার ভোট দিয়েছেন, তাদের নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে বলা হচ্ছে। এটি ভোটাধিকার হরণ।”
আদালতে আবেদনকারীরা বলেছেন, নাগরিকত্ব প্রমাণের দায়িত্ব ভোটারদের ওপর চাপানো যাবে না। “২০২৪ সালে ৪০ জন সাংসদ লোকসভায় গেছেন, অথচ ভোটারদের অবৈধ দেখানো হচ্ছে। এটি সংবিধানের অধিকার লঙ্ঘন।”
নির্বাচন কমিশনের সাফাই, ভোটার তালিকা শুদ্ধ করতে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন। বিরোধীদের দাবি, এটি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পিত প্রক্রিয়া।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি চলছে। আদালত নির্বাচন কমিশনকে আরও স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল হতে বলবে কিনা, সেটাই এখন সকলের নজরে।