বামশাসিত ত্রিপুরায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্যানেল বাতিল করা উচিত নয় বলে সওয়াল করেছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

পশ্চিমবঙ্গের মতো টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার ঘটনা দেশের অনেক রাজ্যেই আছে।

April 4, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অতীতের বামশাসিত ত্রিপুরা থেকে শুরু করে বর্তমানে বিজেপিশাসিত হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ – রাজ্যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নজির তৈরি হয়েছে। কোথাও আমলা ও প্রশাসনিক স্তরে, কোথাও প্রভাবশালী রাজনৈতিক যোগসাজশে এই ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। এমনকি, দুর্নীতির দায়ে জেল খাটতে হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে সেই সমস্ত কেলেঙ্কারি। ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট জমানায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে ২০১০ এবং ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুলশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০,৩২৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় ত্রিপুরা হাই কোর্টে। গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ত্রিপুরা সরকার। সেখানে ত্রিপুরা সরকারের তরফে কেন প্যানেল বাতিল করা উচিত নয়, সওয়াল করেছিলেন বামপন্থী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু ২০১৭ সালে পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালতও। ঘটনাচক্রে পশ্চিমবঙ্গেও শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে পুরো প্যানেল বাতিলের জন্য সওয়াল করেছেন সেই তিনিই। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ত্রিপুরার উলটো ভূমিকায়।

পশ্চিমবঙ্গের মতো টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার ঘটনা দেশের অনেক রাজ্যেই আছে। তার মধ্যে সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা হরিয়ানার। ২০০০ সালের। সেখানে শিক্ষক দুর্নীতির মামলায় জেল হয় তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের বরখাস্ত করার রায় দেয় পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। আদালত নিয়ম ভেঙ্গে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ফেরত দিতে বলে। পরে শীর্ষ আদালত বরখাস্ত শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখে। যদিও মামলাটি এখনও চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen