বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে আহত ১৯জন পুলিশকর্মী, আর কী জানালেন ADG দক্ষিণবঙ্গ?

May 16, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভে কার্যত খণ্ড যুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের সঙ্গে। বিকাশ ভবনে আটকে পড়েন বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় পাঁচশোরও বেশি সরকারি কর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কেউ অসুস্থ। মহিলারাও ছিলেন। অভিযোগ, আটকে পড়া সরকারি কর্মীদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালান আন্দোলনকারীরা।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে লাঠিচার্জের ঘটনার ব্যাখ্যা দিলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে সংযমের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। যেটুকু লাঠিচার্জ হয়েছে তা শুধুমাত্র বিকাশ ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদের বের করে আনতে। এই ঘটনার নেপথ্যে কারও উস্কানি রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ জানান, “যারা উস্কানি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, “বিকাশ ভবনে ১০ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন চাকরিহারারা। গতকাল অন্যরকম চেহারা নেয় অবস্থান। দু-আড়াই হাজার লোক চলে আসেন। ব্যারিকেড ভাঙেন। পুলিশ অনুরোধ করলেও শোনেননি। তাঁরা বলেন, কাউকে বেরতে দেবেন না। পুলিশ সচেতনভাবে কিছু করেনি। পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে, ধৈর্য দেখিয়েছে পুলিশ। অ্যাকশন নিলে গেট ভাঙার সময় করা যেত।

৭ ঘণ্টা ধরে পুলিশ বুঝিয়েছে। বিকাশ ভবনে ৫৫টি দপ্তর, ৫০০-৬০০ কর্মী রয়েছেন। সন্ধের পর তাঁরা বেরতে চান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বেরতে দেবেন না। পুলিশ তা সত্ত্বেও কিছু করেনি। বুঝিয়েছেন। মাইকিং করা হয়।”

তাঁর সংযোজন, “বিকাশ ভবনের ভিতরে অনেকে প্যানিক করতে শুরু করেন। ফোন করেন। একজন সন্তানসম্ভবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ি ফিরতে চান। একজনের মা অসুস্থ। তিনি অসহায়ভাবে ঝাঁপ দেন। পা ভেঙে গিয়েছে। বারবার চেষ্টা করেছি। উচ্ছৃঙ্খল বাধা এসেছে। তারপরেও আমরা বারবার মাইকিং করি। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কোনও বাধা নেই বলি। যারা বিনা দোষে বিকাশ ভবনে আটকে আছেন তাঁদের বেরতে দেওয়ার কথা বলা হয়। নিরাপদে কর্মীদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। তখন আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে। ধাক্কাধাক্কি করে।”

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকারের কথায়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা নেই। সাত ঘণ্টা ধরে পুলিশের অনুরোধের পরেও অবস্থান চালানো হয়, সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়, সে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ নয়। যদি আন্দোলন করার অধিকার থাকে, তবে সারাদিন চাকরির পর কর্মীদের বাড়ি ফেরার অধিকার রয়েছে। যাঁরা বেরচ্ছিলেন তাঁদের প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি ছিল। বের করার জন্য যতটা বলপ্রয়োগ করার ততটুকু হয়েছে। তা স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই।

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ জানিয়ে দেন, যাবতীয় প্রোটোকল মানা হয়। ভিডিও, অডিও রয়েছে। বার বার অনুরোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও শোনেননি। তাঁর সাফ কথা, “ধৈর্য ও সংযমের চূড়ান্ত পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। যেটা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করেছি। সেটা হয়েছে। ১৯ জন পুলিশ জখম হয়েছেন।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen