১১ জনকে ‘রক্তপিপাসু’-কে মুক্তি – সুপ্রিম কোর্টে শুরু বিলকিসের ন্যায় বিচার

গুজরাতে নির্যাতিতা বিলকিস বানোর অপরাধীদের মুক্তির বিরোধিতায় করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল।

August 8, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো মামলা, নিজস্ব চিত্র

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: গুজরাতে নির্যাতিতা বিলকিস বানোর অপরাধীদের মুক্তির বিরোধিতায় করা মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল। সোমবার শুনানির সময় আদালতের সামনে ২১ বছর পুরনো সেই বিভীষিকাময় ঘটনা ফের একবার তুলে ধরেন বিলকিস বানোর আইনজীবী শোভা গুপ্তা। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে ‘রক্তপিপাসু’ আখ্যা দেন । আইনজীবী জানান, বিলকিসকে অন্তসত্ত্বা অবস্থায় শুধু গণধর্ষণই করা হয়নি। তাঁর ১৪ জন আত্মীয়কে খুন করা হয়, যার মধ্যে ছিল বিলকিসের দুই বছরের শিশুকন্যাও। এই মানুষদের ক্ষমা করা যায় না, আবেদন করেন তিনি।

বিলকিসের আইনজীবী আরও বলেন যে জেল সুপার সরকারকে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে জেলে এই ১১ জনের আচরণ সন্তোষজনক ছিল। তবে তাদের অপরাধের বিষয়টি গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর ১১ জন গণধর্ষকদের গত ১৫ আগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে প্রসঙ্গত, গুজরাত সরকারের যুক্ত, ১৯৯২ সালের নীতি অনুযায়ী মুক্তি দেওয়া হয়েছে।। এই নিয়ে বিতর্ক চরমে। সি

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়। পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীকালে সেই সাজার মেয়াদ বহাল রেখেছিল বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট।

তবে গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো গতবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বিলকিস দাবি করেছিলেন, গুজরাত সরকার শীর্ষ আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে । এই নিয়ে সুভাষিণী আলি, মহুয়া মৈত্ররাও মামলা করেছিলেন। সেই সব মামলা গ্রহণ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen