শাহকে খাইয়েও মেলেনি মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্য, ‘কেউ কথা রাখেনি’, আফশোস বিভীষণের

এক বছর আগের কথা। বাংলায় তখন ডেইলি প্যাসেঞ্জার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

November 6, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

এক বছর আগের কথা। বাংলায় তখন ডেইলি প্যাসেঞ্জার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোম থেকে রবি, অমিত শাহের রোস্টার ছিল দিল্লি থেকে কলকাতা আবার কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়া। প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এবং জুমলার রঙ্গমঞ্চ নাটক মঞ্চস্থ করা।

২০২০ সালের ৫ নভেম্বর। বাংলায় হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের আগে তখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বাঁকুড়ায় দলের কর্মসূচিতে নিত্যযাত্রী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে বিতর্কিত মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক সভা। এবং গরীব-তপসিলি জাতি-উপজাতিদের একচিলতে ঘরে গিয়ে পঞ্চব্যঞ্জন সহকারে খাওয়া। তারই অঙ্গ হিসেবে চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের বিরাট আয়োজন।

সেদিন বিভীষণের ছোট্ট বাড়িতে ভোর থেকে সাজ সাজ রব। নিজে হাতে রেঁধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খাইয়েছিলেন স্ত্রী মনিকা হাঁসদা। বিভীষণ হাঁসদাকে পাশে বসিয়েই সেদিন আঙুল চেটে চেটে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। দুপুরে খাওয়ার ফাঁকে কঠিন অসুখে ভুগতে থাকা মেয়ে রচনার চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের করুণ আর্জি জানিয়েছিলেন বিভীষণ। একগাল হাসি আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লির এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পর্যন্ত আশ্বাস মিলেছিল!

এরপর স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও বলেছিলেন বিষয়টি দেখে নেবেন। বিভীষিণের অভিযোগ, কেউ কথা রাখেনি। প্রতি মাসে মেয়ের চিকিৎসার জন্য খরচ হয় ৫ হাজার টাকা। এক বছর পরেও মেয়ের কঠিন অসুখের চিকিৎসা চালাতে ভরসা বলতে বিভীষণ হাঁসদার জনমজুরির সামান্য উপার্জনই। কোথায় এইমস? কোথায় অমিত শাহ? কোথায় বিজেপি সাংসদ? বিভীষণ বুঝেছে, দিল্লি এখন অনেক দূর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen