শীর্ষ আদালতে ধাক্কা BJP-র, কুৎসা-বিজ্ঞাপনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলার সংবাদমাধ্যমে কুৎসা-বিজ্ঞাপন দিতে মরিয়া বিজেপি।

May 28, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলার সংবাদমাধ্যমে কুৎসা-বিজ্ঞাপন দিতে মরিয়া বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টেও তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিজেপি। বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ শুনানিতে জানায়, বিজ্ঞাপন দু’টি অত্যন্ত অপমানজনক। বিজেপির আবেদনে সাড়া না দিয়ে প্রায় পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয় আর্জি। বিচারপতিরা জানান, মামলায় তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করছেন না।

এদিন বিজেপির হয়ে হাজির ছিলেন আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া। তাঁর উদ্দেশ্যে বিচারপতি বিশ্বনাথন বলেন, বিজ্ঞাপনটি তাঁরা দেখেছেন। এটা অত্যন্ত অপমানজনক। আপনারা (বিজেপি) নিজেদের সেরা বলে দাবি করতেই পারেন। কিন্তু অন্যকে আক্রমণ করে নয়। তাই আপনাদের উভয়ের মধ্যে বিদ্বেষের পরিমাণ বাড়তে পারে, এমন কাজ কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। বিরোধী মানেই যে শত্রু নয়, বিজেপিকে তাও মনে করান বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞাপনটি আপনাদের (বিজেপি) সাহায্য করতে পারে, কিন্তু ভোটারদের কোনও স্বার্থসিদ্ধি করবে না। বরং বিতর্ক আরও বাড়াবে। তাই মামলায় হস্তক্ষেপ করছেন না তাঁরা। তড়িঘড়ি মামলা প্রত্যাহার করে বিজেপি।

তৃণমূলের পক্ষে শুনানিতে হাজির ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং অমিত আনন্দ তিওয়ারি। সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিজেপির জোড়া বিজ্ঞাপনে আপত্তি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, বিতর্কিত বিজ্ঞাপন আদর্শ নির্বাচনীবিধি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ না করায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। গত ২০ মে বিজেপিকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চ। সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশনও। আদালতের প্রশ্ন, কী করে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়? হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় বিজেপি। কোনও সুরাহা না মেলায়, সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেল বিজেপি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen