স্বাস্থ্যসাথীর ভূয়সী প্রশংসা বালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের স্বামীর

বিজেপি বা বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা আদপে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলে। এবং কেয়া ঘোষের স্বামীর এই ফেসবুক পোস্ট তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

March 25, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রশংসায় এবার বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের স্বামী অনির্বাণ ঘোষ। সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম এক ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। এবং চিকিৎসার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। এরপরই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রশংসা করেন কেয়ার স্বামী। রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। এবং তাঁর এই পোস্ট প্রমাণ করলো, বিজেপি বা বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা আদপে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা। বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলে। এবং কেয়া ঘোষের স্বামীর এই ফেসবুক পোস্ট তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

আহত ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রশংসায় ফেসবুকে লম্বা পোস্ট যা লিখেছেন অনির্বান ঘোষ-“এই মৎসজীবী সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন,খুব দূরে বা গভীরেও যাননি, সামান্য ভীতরে প্রবেশ করে সবেই সুতো ফেলতে শুরু করেছেন,হঠাৎ ডালপালা ভাঙার শব্দ পেয়েই ওনার অভিজ্ঞ মন বুঝে ফেলেন সাক্ষাৎ যম ওনার দিকেই ছূটে আসছে,উনি সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পড়েন,প্রায় ৮ফুট লম্বা ইয়ং রয়াল বেঙ্গল,মাথায় কামড় বসাতে ফেলিওর হয়,দাঁত তিনটে গিয়ে পড়ে পিঠে,এই প্রায় ৫’৮” এর ৩৫ বছরের সুঠাম দেহী যুবকটি অতি তৎপরতার সঙ্গে ঘাড় বেঁকিয়ে বাঘের চোখের ভীতর হাত দিয়ে আঘাত করে,কামড় একটু আলগা হতেই উনি ছিটকে সরে আসেন,ওনার ২-৩সঙ্গী হাতের লাঠি নিয়ে সজোরে আঘাত করে বাঘের গায়ে,বাঘটি সাময়িক রণে ভঙ্গে দিয়ে পালায়,আর সেই সুযোগে এনাকে পিঠে তুলে এরা এক ছুটে নৌকায় উঠে আসে আর নৌকা ছুটিয়ে দেয় মাতলার মাঝে কারন এনারা জানেন ঐ বাঘ আবার আঘাত হানবে,তার আগেই পালাতে হবে,সব শক্তি দিয়ে বাঘ প্রতিহত করেই অজ্ঞান হয়ে যান উনি…..পিঠে একাধিক কাটা,যার মধ্যে তিনটে মাংস ফুঁড়ে হাড়ে পৌঁছে গেছে,নখের আঁচড়ে ডিপ কেটেছে মুখের বিভিন্ন অংশ,ঘাড়,বুক,গলায়,রক্তে সারা শরীর লাল,সেই অবস্থায় লোকাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করেই চলে আসে জয়নগর স্পন্দন ম্যাটারনিটি অ্যান্ড নার্সিংহোমে,আমরা পেয়েই আগে ওটি তে নিয়ে যাই,সার্জেন দত্তগুপ্ত ও আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঝাঁপিয়ে পড়ি ওকে বাঁচাতে,অতন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন প্রায় দু ঘন্টার আমাদের লড়াই এ ইঞ্জুরি রিপেয়ার করা হয়,তারপর চলে রোগীকে স্টেবল করার লড়াই,৪জন ডাক্তার ও আমাদের আইসিইউ স্টাফ মিলে অনেক কষ্টে ওনাকে স্টেবল করি!!রোগীকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি করাহয়,যার জন্যে ঐ গরীব পরিবারের কোনোরকম খরচ করতেই হয়নি!!পুরো চিকিৎসাটাই ঐ কার্ডে করাহয়!!আজ দুপুর থেকে ঐ বীর মানুষটি অনেকটাই সুস্থ, ক্রিটিকাল অবস্থা থেকে বের হয়ে এসেছেন….ডাঃদত্তগুপ্ত, অ্যানেস্থেটিস্ট ডাঃমূখার্জী,ডাঃহরিসাধন ও আমিসহ আমাদের সকলের প্রচন্ড লড়াই আজ সাক্সেসফুল!!ধন্যবাদ পঃবঃ সাস্থ্যসাথী পরিসেবাকে!!

Image
Image
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen