BJP-র জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় তালা! চরমে শান্তনু-সুব্রত কোন্দল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৩০: ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়ি ঘিরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। খোদ বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়ির চাকায় তালা মারল দলের একাংশ। যা নিয়ে শুরু হল কটাক্ষ-পালটা কটাক্ষ। বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুরের বিবাদ আরও প্রকাশ্যে এসে পড়ল। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযোগ, বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়িতে তালা দিয়ে দেয় গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও তাঁর অনুগামীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার গাইঘাটার ঠাকুরবাড়িতে আবারও দুই-ভাই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য চলে এল। জানা গিয়েছে, বনগাঁ সংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার সকালে ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সুব্রত ঠাকুরের নেতৃত্বে কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক বিকাশবাবুকে ঘিরে ধরেন। গাইঘাটা ১-র মণ্ডল সভাপতি কে হবে, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের উত্তর না-দিয়ে বিকাশ চলে যান। অভিযোগ, চারমাস ধরে বিকাশ ঘোষ ওই এলাকার দলের মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা আটকে রেখেছেন।
তারপরই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সুব্রত ঠাকুরের নেতৃত্বে বিকাশ ঘোষের গাড়িতে তালা মেরে দেন বলে অভিযোগ উঠছে। চারচাকা গাড়ির সামনের চাকায় শিকল দিয়ে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ঠাকুরবাড়ির চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। যদিও পরে শান্তনু ঠাকুরে জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে শিকল খোলার ব্যবস্থা করেন। তখন শান্তনু ও সুব্রতর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়৷ প্রকাশ্যে দুই নেতার বিবাদ ফের গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামনে আনল। বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, বিজেপি উশৃঙ্খল, মণ্ডল সভাপতি করা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার জেরে এই গণ্ডগোল হয়েছে।
শান্তনু ঠাকুর জানান, বিজেপির জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ তাঁর কাছে দরকারে এসেছিলেন৷ সে সময় সুব্রত ঠাকুর জোর করে গাইঘাটার মণ্ডল সভাপতি কাউকে করতে চান। জেলা সভাপতি কথামতো না-চলায় ওরা গাড়িতে তালা দেয়। এটা লজ্জার। সুব্রত ঠাকুরের পালটা দাবি, গাইঘাটার মণ্ডল সভাপতি কাকে করা হবে, কর্মীরা জানতে চেয়েছিল। কোনও উত্তর না-দিয়ে বিকাশ ঘোষ চলে যান। তাঁর কথায়, ক্ষুব্ধ কর্মীরাই গাড়িতে তালা দিয়েছে।