মোদীর চাকরির ‘জুমলা’-র আসর ফেঁদে বসে এবার বাংলায় ভোট পাওয়ার আশায় বিজেপি

October 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Ritam
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:২৭: বিধানসভা ভোটের আগে ফের চেনা পথে হাঁটছে বিজেপি। প্রতিশ্রুতির ঝাঁপি খুলে ভোট কেনার মরিয়া চেষ্টা করছে তাঁরা। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল অবস্থা ঢাকতে এবার মানুষের বিশ্বাসকেই অস্ত্র বানাতে চায় পদ্মশিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ধাঁচে কোটি-কোটি চাকরির ‘জুমলা’ ছুঁড়ে দিয়ে বাংলার ভোটারদের বিভ্রান্ত করার খেলায় নেমেছে রাজ্য বিজেপি।

 

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু’কোটি চাকরির। এক দশক কেটে গিয়েছে, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও মুখের কথাতেই আটকে। বরং বহু কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে লক্ষ-লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে, অথচ ‘রোজগার মেলা’ নামের প্রচারমুখী উৎসব করে কয়েকশো চাকরি দিচ্ছে কেন্দ্র। দেশের যুবসমাজ যেখানে কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশ, সেখানে ভোটের মুখে নতুন করে চাকরির প্রলোভন দেখানো নিছক ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

 

এবার সেই ছকই হুবহু প্রয়োগ করা হচ্ছে বাংলায়। পুজোর মরশুমে রাজ্য জুড়ে শাড়ি, পাঞ্জাবি, মিষ্টি আর চাকরির প্রতিশ্রুতির ‘উপঢৌকন’ বিলি শুরু করেছে বিজেপি। বাহারি গেরুয়া ব্যাগে ভরা এই উপহারসামগ্রীর সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে নতুন “অঙ্গীকার”, যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার মা-বোনদের প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা দেওয়া হবে “অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার” প্রকল্পে।

 

এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর কৃতিত্বকে অনুকরণ করার মরিয়া প্রয়াস। মমতাকে কাউন্টার করতে দ্বিগুণ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মহিলা ভোটারদের মন জয়ের ব্যর্থ চেষ্টায় নেমেছে তারা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির এই কৌশল একদিকে যেমন মোদীর ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা, অন্যদিকে বাংলার মানুষকে আবারও মিথ্যা আশায় ভোলানোর প্রচেষ্টা। কর্মসংস্থানের বাস্তব চিত্র লুকিয়ে শুধুমাত্র ভোটের আগে চাকরি ও নগদের প্রলোভন দেখানো গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননাকর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen