মনিরুলকে নিয়ে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

একদিকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ২৯১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার পর যেখানে তৃণমূল প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সেখানে লাভপুর বিধানসভায় মনিরুল ইসলাম বিরোধী পোস্টার বিধানসভার লড়াইয়ে বিজেপিকে অনেকটা পিছিয়ে দিল, এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

March 7, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলামকে (Manirul Islam) নিয়ে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় ফের অস্বস্তিতে বীরভূম জেলা বিজেপি (bjp) নেতৃত্ব। শনিবার লাভপুর ১নং অঞ্চলের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘খুনি মনিরুল হটাও বিজেপি বাঁচাও’ পোস্টারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে। জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে অস্বীকার করলেও স্থানীয় নেতৃত্ব যে মনিরুলকে গ্রহণ করছে না তা তাঁদের বক্তব্যেই পরিষ্কার।

একদিকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ২৯১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করার পর যেখানে তৃণমূল প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সেখানে লাভপুর বিধানসভায় মনিরুল ইসলাম বিরোধী পোস্টার বিধানসভার লড়াইয়ে বিজেপিকে অনেকটা পিছিয়ে দিল, এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

মনিরুল ইসলামের নাম না করে লাভপুরের বিজেপির ‘বি’ মণ্ডলের সভাপতি সুবীর মণ্ডল বলেন, লাভপুরের সাধারণ মানুষ বাইরে থেকে আসা কোনও নেতাকে পছন্দ করছে না। তারা স্থানীয় নেতৃত্বকেই চায়। এমনকী দলীয় কর্মীরা স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়া বাইরে থেকে আসা নেতাকেও পছন্দ করছে না। লাভপুর অঞ্চলে ‘খুনি মনিরুল হটাও বিজেপি বাঁচাও’, ‘খুনি মনিরুল অ্যান্ড‌ সন্স তোমাদের মানছি না মানব না’, ‘প্রাইমারি চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটের মনিরুলকে আমরা মানছি না মানব না’ ইত্যাদি পোস্টার যেখানে পাওয়া যায়, সেই ‘সি’ মণ্ডলের সভাপতি অশোক পাল বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে মনিরুল ইসলামের ভাবমূর্তি ভালো নয়, তবে যেহেতু তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, তাই তাঁকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি। এ বিষয়ে লাভপুরের তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট তরুণ চক্রবর্তী বলেন, মনিরুল ইসলামের সঙ্গে লাভপুরের মানুষের যে কোনও যোগাযোগ নেই, সেটি বুঝতে পেরেছে লাভপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব, তাই গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। যদিও যাঁকে নিয়ে এই গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সেই মনিরুল ইসলাম বলেন, এটা তৃণমূলের নোংরামো ও দলে ভাঙন ধরানোর অপচেষ্টা। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি কোনও জবাব দেননি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen