গুণ্ডারাজ চালাচ্ছে বিজেপি: আগরতলা পৌঁছনোর আগে চাঁচাছোলা আক্রমণ তৃণমূল প্রতিনিধি দলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.৪০: ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানকার শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এই ঘটনায় নীরব নয় তৃণমূল। বুধবার সকালেই কলকাতা থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে দলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।
দলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব এবং সুদীপ রাহা। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন যে, তাঁদের নেতা-নেত্রীদের ওপরে হামলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর, এবং এখনও নানা রকম হুমকি আসছে।
অন্যদিকে প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ সায়নী ঘোষের কণ্ঠেও শোনা গেল প্রতিবাদের সুর। তিনি বলেন যে, তাঁদের এভাবে ভয় দেখিয়ে দমানো যাবে না। ত্রিপুরার কর্মীদের পাশে তাঁরা আছেন, এবং থাকবেন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের প্রত্যেক কর্মী ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী এবং প্রত্যেক নাগরিক এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছে। ত্রিপুরার মানুষ যা দেখছেন, তা সমগ্র দেশও দেখছে। গণতন্ত্রের ওপর আঘাতের যে পরিণতি হয়, তা শীঘ্রই বিজেপিকে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছে দল।
প্রতিনিধি দলের সদস্য ও তৃণমূল মুখপাত্র সুদীপ রাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিজেপির গুণ্ডারাজ চলছে। বাংলার নির্বাচনে বিপ্লব দেবকে নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ করে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা গুণ্ডারাজের পক্ষেই।”
ত্রিপুরার এই ঘটনার পর তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট, ভয় দেখিয়ে কিংবা দমননীতি চালিয়ে বিজেপি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না। দল জানিয়েছে, ত্রিপুরার মানুষের পাশে থেকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা শেষ পর্যন্ত লড়বেন।