গেরুয়া বাহিনী ফতোয়া জারি করছে, অথচ খোদ মোদী সরকারই উৎসাহ দিচ্ছে মাছ চাষে, আয় বাড়ছে

বিপাকে বাঙালি ভোজনরসিকরাও। বিশেষত মাছে-ভাতে বাঙালি। অথচ খোদ মোদী সরকারই উৎসাহ দিচ্ছে মাছ চাষে।

April 16, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উৎসবের সময় এলেই দিল্লি সহ উত্তর ভারতের কোনও না কোনও রাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর অলিখিত ফতোয়া জারির অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। নিজেদের নিরামিষ হিন্দু দাবি করে সদলবলে কখনও মাছের বাজারে, কখনও মাংসের দোকানে তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে তটস্থ বিক্রেতা। বিপাকে বাঙালি ভোজনরসিকরাও। বিশেষত মাছে-ভাতে বাঙালি। অথচ খোদ মোদী সরকারই উৎসাহ দিচ্ছে মাছ চাষে।

বছর বছর বিদেশে মাছ রপ্তানি করে আয় হচ্ছে বিদেশি মুদ্রা। ভরছে কোষাগার। তাহলে সেই সরকারেরই অনুগামী গেরুয়া বাহিনীর একাংশের কেন ওই হুমকি? ওয়াকিবহাল মহলে উঠছে প্রশ্ন। খোদ কেন্দ্রের তথ্যই বলছে, ঘরোয়া বাজারে বিক্রি তো বটেই, বছর বছর মাছ রপ্তানি বাড়ছে। উপার্জন বাড়ছে সরকারের। মোদি জমানাতেই ২০২০ সালে শুরু হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদা যোজনা।’ যেখানে মাছ চাষে উৎসাহ যেমন বাড়ানো হচ্ছে, তারই সঙ্গে কেন্দ্রের টার্গেট এক লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি।

ক্রমশ সেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছেও মোদি সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেই রপ্তানি হয়েছে ৬০ হাজার ৫২৩ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার মাছ। পরিমাণে ১৭ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০২ টন। মোদি-শাহর রাজ্য গুজরাত থেকেই ওই অর্থবর্ষে মাছ রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকার মাছ। আর এক বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র থেকে রপ্তানি হয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকার মাছ। গোয়া থেকে বিদেশে মাছ বিক্রি করে আয় হয়েছে ৯৩৪ কোটি টাকা। এনডিএ শরিক অন্ধপ্রদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ১৯ হাজার ৪২০ কোটি টাকার মাছ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি হয়েছে। ফলে মাছ রপ্তানি করে ভারতের আয় যে বাড়ছে, তা বলছে সরকারি তথ্যই। শুধু তাই নয়। সরকারি প্রকল্পের ফলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen