Jhargram BJP: ঝাড়গ্রামে বিজেপিতে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আর্থিক নয়ছয় ও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগে কোণঠাসা জেলা সভাপতি
দলের একাংশের অভিযোগ, তিনি কোনও দলীয় নিয়ম বা নীতি না মেনেই নিজের খেয়ালে সংগঠন চালাচ্ছেন – আর এর মূলে রয়েছে আর্থিক নয়ছয়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১২: জঙ্গলমহলের বিজেপি (BJP) এখন কার্যত চরম অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ঝাড়গ্রাম জেলা সংগঠন কার্যত বিভক্ত চারটি গোষ্ঠীতে। এই চার গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র মতবিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বর্তমান জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো (Tufan Mahato)। দলের একাংশের অভিযোগ, তিনি কোনও দলীয় নিয়ম বা নীতি না মেনেই নিজের খেয়ালে সংগঠন চালাচ্ছেন – আর এর মূলে রয়েছে আর্থিক নয়ছয় (financial irregularities)।
অভিযোগ, ভোটের সময় সংগঠনের নামে আসা অর্থ থেকে শুরু করে কর্মীদের প্রাপ্য ফান্ড – কিছুতেই স্বচ্ছতা নেই। একাধিক কর্মী অভিযোগ করেছেন, তাঁরা তাঁদের কাজের পারিশ্রমিক পাননি, বরং দল থেকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। দলেরই একাংশ এমনকি এই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বিজেপি কর্মীদের চিহ্নিত করতে একটি নতুন সংগঠনও (breakaway group) গড়ে তুলেছেন। তাঁদের অ্যাজেন্ডা একটাই – দলের ভিতর থেকে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি দূর করা।
এই অবস্থায় জঙ্গলমহলের বিজেপি কর্মীদের এখন একমাত্র ভরসা নতুন রাজ্য সভাপতি শ্রমিক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। দলের বহু পুরোনো কর্মীরাই আশাবাদী, নতুন নেতৃত্ব হয়তো বাস্তব পরিস্থিতির খতিয়ান নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।
সব মিলিয়ে, একনায়কতন্ত্র (autocratic leadership), আর্থিক নয়ছয় ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ঝাড়গ্রামের বিজেপি এখন কার্যত অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াইয়ে নামছে, আর এই সংকট কাটাতে না পারলে জঙ্গলমহলে দলের সংগঠন আরও দুর্বল হবে, এমনটাই আশঙ্কা পদ্ম শিবিরের ভেতরে ও বাইরে।