কল্যাণী AIIMS-এ চাকরির টোপ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ! প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি নেত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:৩৫: ফের শিরোনামে কল্যাণী এইমস (AIIMS)। আবারও চাকরির নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করল এক বিজেপি (BJP) নেত্রীকে। ধৃতের নাম তনু খাস্তগীর। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যা বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ধৃতকে কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এর আগে কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল, যা পরে খারিজ হয়ে যায়। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। এবার স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধেই উঠল সরাসরি টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কল্যাণীর সগুনা অঞ্চলের চারজন বাসিন্দার কাছ থেকে এইমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তনু খাস্তগীর (Tanu Khastagir)। অভিযোগকারী ইব্রাহিম মণ্ডল, রিপন দাস ও পঙ্কজ দাসরা জানান, তনু তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ২ মাসের মধ্যে এইমসে চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু ৮ মাস কেটে গেলেও কোনো চাকরি হয়নি, এমনকি টাকাও ফেরত পাওয়া যাচ্ছিল না।
জানা গিয়েছে, রবিবার ওই চাকরিপ্রার্থীরা একটি ফাঁদ পাতেন। তাঁরা তনু খাস্তগীরকে জানান যে, আরও একজনকে চাকরি করে দিতে হবে এবং সেই বাবদ টাকা দেওয়া হবে। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে রবিবার এইমস চত্বরে হাজির হন ওই বিজেপি নেত্রী। সেখানে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং পুরনো টাকা ফেরত চান। টাকা দিতে না পারায় তনুকে আটকে রেখে গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
যদিও গ্রেপ্তারির পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বারবার নিজের দোষ অস্বীকার করেছেন তনু খাস্তগীর। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল দেবনাথ অভিযোগ করেন, “কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এর আগেও একাধিকবার বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা এই টাকার ভাগ বিজেপির উপরমহল পর্যন্ত পৌঁছায়।”
অন্যদিকে, দলের নেত্রীর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রে অন্য কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।