পদ্মে কোন্দল: জেলা BJP-র সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ খোদ গেরুয়া নেত্রীর

July 20, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০.০০: একেবারে শীর্ষস্থান থেকে জেলা, এমনকী মণ্ডলস্তরেও বিজেপির কোন্দলের অন্ত নেই। বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। এখন যখন নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নামার সময় তখন বিজেপি কোন্দলে কোন্দলে জেরবার! ধাপে ধাপে আরও নানান দিক থেকে বিজেপির অন্দরের কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। এবার বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন, দলের মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সহ সভানেত্রী পুতুল যোশী। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, গোটা জেলায় বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা। একে অপরের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে চলেছেন। বিভিন্নভাবে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, যাতে তাঁদের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়।

শনিবার সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ, বিজেপির চারবারের জেলা সভাপতি তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে পদ্ম পার্টিকে বীরভূমের মাটিতে শেষ করছেন। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রশ্মি দের বিরুদ্ধেও তিনি একই অভিযোগ এনেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সভাপতির আঁতাতের প্রমাণ দিতে ফেসবুকে একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতার পারিবারিক ছবিতে ধ্রুব সাহা লাভ রিয়াক্ট দিয়েছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধ্রুব সাহা কোনও মন্তব্য করেননি এখনও। রশ্মি দে বলেন, পুতুল যোশীর কথার কোনও ঠিক নেই। একদা সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন পুতুল। তবে ঠিকমতো কাজ না করে দলের উনি অভ্যন্তরে অশান্তি পাকাচ্ছিলেন। তার জেরে ছ’মাস বাদেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগামীতে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও বলেন রশ্মি।

সদ্য গোটা রাজ্যে বিজেপির জেলা সভাপতি পদে বদল হয়। কিন্তু বীরভূম সাংগঠনিক জেলায় পুরনো মুখেই আস্থা রাখে পদ্ম শিবির। যা নিয়ে খোদ দলের মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সহ সভানেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে সরব হলেন। গত নির্বাচনে জেলায় দলের খারাপ ফলের জন্য তাঁকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেত্রী। সভাপতির সম্পত্তির হিসেব নিয়েও সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে ধ্রুব সাহার সম্পত্তির তদন্তের দাবি করেছেন। এহেন পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। পুতুল বলেন, দলের স্বার্থে জেলা সভাপতি পদে বদল প্রয়োজন। এরা দলেরই ক্ষতি করছে। এরা থাকলে আগামী নির্বাচনেও ফল খারাপ হবে। যারা কাজ করতে চাইছেন তাঁদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে। ওঁরা তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করবেন আর সাধারণ কর্মীরা খুন হবেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen