মোদী-শাহের দিকে আঙ্গুল তুললেই কমিটি থেকে নাম কাটা পড়ছে বিজেপি নেতাদের?
লখিমপুর নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য বরুণ গাঁধীকে ব্রাত্য করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতৃত্ব।

মুখ খুললেই নেমে আসবে খাঁড়া। ৭ তারিখের জাতীয় কর্মসমিতির তালিকার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ।
লখিমপুর নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য বরুণ গাঁধীকে ব্রাত্য করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাদ যান তাঁর মা মানেকা গাঁধীও। তেমনি হরিয়ানার সাংসদ রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ ও চৌধরি বীরেন্দ্র সিংহ প্রকাশ্যে বেশ কয়েকবার সরকারের কৃষি নীতির সমালোচনা করায় দলের কোপে পড়েছেন। বাদ পড়েছেন দলের অন্দরে মোদী-শাহের বিরোধী বলে পরিচিত বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্মন্ত সিংহ। তালিকায় স্থান হয়নি একদা সুষমা স্বরাজ ঘনিষ্ঠ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়ারও। বাদ পড়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সব মিলিয়ে গত কালের তালিকা জে পি নড্ডার নামে প্রকাশিত হলেও, রাজনীতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যাঁরাই দলে সরকারের দুই শীর্ষ নেতার বিরোধী বলে পরিচিত, তাঁরাই স্থান পাননি নতুন কর্মসমিতিতে। তাঁদের বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবিজেপিকে ঘোল খাইয়ে আশ্চর্যজনকভাবে অবশ্য জায়গা পেয়ে গিয়েছেন ক্রমাগত তৃণমূলের সঙ্গে যোগ রেখে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোটের কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মাঝপথেই নিরুদ্দেশ হওয়া মিঠুন চক্রবর্তীর মত ব্যক্তিরা। জায়গা পেয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীও। বাংলায় দলবদলুদের ওপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
বাংলার ক্ষেত্রে ভোটে হেরে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হলেও অদ্ভুতভাবে জায়গা মেলেনি ক্রমাগত ভোটের প্রচার করা এবং দলের যাবতীয় কর্মসূচি পালন করে যাওয়া দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। গুজব ছড়িয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে তীব্র অপমানিত দুজনেই।