সদস্য সংগ্রহে বেরিয়ে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া, রান্নার গ্যাস, পেট্রল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতারা

গত লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর শুরু হয়েছে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এর আগে ২০১৯ সালে হয়েছিল বিজেপির এই কর্মসূচি।

November 27, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
একাধিক বিষয়ে প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতারা, গ্রাফিক: মানস মোদক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হওয়ার পর থেকে রাজ্যজুড়ে বিজেপির পালে আর সেভাবে কখনওই হাওয়া লাগেনি। পরবর্তী সময়ে পুর নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে চব্বিশের লোকসভা ভোট—কোনও সময় বিজেপি আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। গত লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর শুরু হয়েছে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এর আগে ২০১৯ সালে হয়েছিল বিজেপির এই কর্মসূচি। সেবারও বারাসত ও বসিরহাট অঞ্চলে সদস্য হতে মানুষের মধ্যে তেমন কোনও সাড়া দেখা যায়নি।

এবার সেরকমই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে উপ নির্বাচনে হারের পর। এমন হতাশাজনক ফলের কারণে অনেকে সদস্য হতে চাইছেন না বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায়শই অস্বস্তিকর প্রশ্ন ও প্রসঙ্গের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপি নেতাকর্মীদের। কালনায় আলু চাষীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। আলু চাষীরা সরাসরি সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেন এই বিজেপি নেতাকে।

পেট্রল-ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র যেভাবে আটকে রেখেছে, তা নিয়ে প্রশ্নবাণ সামলাতে হচ্ছে। দলের এক নেতার কথায়, ‘উপ নির্বাচনের একটা প্রভাব রয়েছে ঠিকই। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, বকেয়া টাকা না পাওয়া নিয়ে কথা বলছে মানুষ। অনেকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। তাই কিছুটা স্তিমিত হয়েছে সদস্য সংগ্রহের গতি।’ ওই নেতার দাবি, বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ নেই বলে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা স্পষ্টতই চক্রান্ত। বসিরহাটের বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। তার মধ্যেই এক লক্ষের কাছাকাছি সদস্য আমাদের হয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্তে জোরকদমে আমরা কাজ চালাচ্ছি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen